সিরি ‘এ’ শীর্ষস্থানের লড়াই দারুণভাবে জমে উঠেছে। কখনো এসি মিলান আবার কখনো ইন্টার মিলান শীর্ষে উঠে আসছে। রোববার অ্যাওয়ে ম্যাচে নাপোলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে আবার শীর্ষে উঠে এসেছে এসি মিলান। ওলিভার জিরোদ করেন একমাত্র গোলটি। অন্যদিকে আলভারো মোরাতোর একমাত্র গোলে জুভেন্টাস ১-০ গোলে স্পেজিয়াকে হারিয়েছে। এ জয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থান দখলের দাবি জোরালো করেছে।
নাপোলির বিপক্ষে জয়ের পর এসি মিলানের পয়েন্ট এখন ৬০। আর ইন্টার মিলান ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে তারা একটা ম্যাচ কম খেলেছে। হারের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাপোলি। তাদের পয়েন্ট ৫৭।
দুই দলের সামনে ছিল শীর্ষে ওঠার সুযোগ। জিতলেই শীর্ষস্থান আর হারলে তৃতীয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমার্ধে খেলা ছিল অনেকটা অগোছালো। কোনো দলই তেমন কোনো আক্রমণের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। নাপোলির অবস্থা তুলনামূলক নাজুক ছিল। পুরো ৯০ মিনিটে তারা মাত্র দুইবা এসি মিলানের পোস্টে শট নিতে পেরেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এসি মিলান এগিয়ে যায়। ডেভি কালাব্রিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলকে সঠিক ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন ওলিভার জিরোদ। শেষ পর্যন্ত তার এ গোলেই এসি মিলানের পুরো পয়েন্ট নিশ্চিত হয়।
বিরতির পর নাপোলি গোল পরিশোধের দুটো সুযোগ পেয়েছিল। অ্যাডাম ওনাসের নেওয়া শট যেমন বাইরে দিয়ে চলে যায় তেমনি হার্ভিং লোজানোও বাইরে মেওে নষ্ট করেন। ফলে সমতায় আর তাদের ফেরানো হয়নি।
এসি মিলানের দুটো সুযোগ নষ্ট করে দেন নাপোলি গোলরক্ষক ডেডিভ ওসপিনা। থিও হার্নান্দেজ ও অ্যালেক্সিস সায়েলেমেকার্সের দুটো শট দক্ষতার সঙ্গে রুখে দেন তিনি।
এদিকে দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও জুভেন্টাসকে যথেষ্ঠ লড়তে হয়েছে। দুই দলের খেলায় ছিল না কোনো ছন্দ। ছিল না কোনো পরিকল্পনার ছাপ। তবে পুরো পয়েন্ট পাওয়াতে জুভেন্টাসের কোচ খুশি। জয়ের পর দলটির কোচ মাসিমো আলেগ্রি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমাদের আরো একটা গোল করা উচিত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের খেলোয়াড়রা অনেক পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। যাহোক আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের এমন জয় যথেষ্ঠ। আর সেটাই আমরা করেছি।’