logo
আপডেট : ৭ মার্চ, ২০২২ ১২:৪৭
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার
অনলাইন ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার

ভিক্টোরিয়ায় স্থায়ী শহীদ মিনারে স্থানীয় সিটি কাউন্সিল কর্মকর্তাসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রথম স্থাপিত হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। এবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই স্থায়ী শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছেন ভিক্টোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা।

ভিক্টোরিয়ান বাংলাদেশি কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের (VBCF) উদ্যোগে এবং উইন্ডহাম সিটি কাউন্সিলের সহায়তায় এ শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়ায় ২০১৭ সাল থেকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন হয়ে আসছে। ওয়েস্টার্ন রিজিওন বাংলা স্কুল (WRBS) এর আয়োজনে এতোদিন দিবসটি উদযাপিত হতো কাঠের শহীদ মিনারের মাধ্যমে। ভিক্টোরিয়ান বাংলাদেশি কমিউনিটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার অধীনে কাজ করছে ডব্লিউআরবিএস।  

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে তার বক্তব্যে ভিবিসিএফের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খান বলেন, স্থায়ী শহীদ মিনার উদ্বোধন ভিবিসিএফ এবং উইন্ডহাম সিটি কাউন্সিলের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। উইন্ডহাম সিটি কাউন্সিলের বাসিন্দা হিসেবে আমরা গর্বিত। এটি ভিক্টোরিয়ার প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ, উইন্ডহাম সিটি কাউন্সিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের এই সুযোগ করে দিয়েছে।

ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খান ২০১৫ সালে ভিবিসিএফের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ করেন। এ নিয়ে তিনি পরে কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র গৌতম গুপ্ত এবং সাবেক কাউন্সিলর ওয়াল্টার ভিলাগনজালোর সঙ্গে। ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে উইন্ডহাম সিটি কাউন্সিলের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয় ২০১৬ সালের ৮ জুলাই। প্রথম বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন কাজী ইকবাল, মোর্শেদ কামাল, নুসরাত ইসলাম এবং ড. মাহমুদ।

পরবর্তীতে কাউন্সিল মনোনীত কর্মীদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠকের পর আর্ট প্রজেক্টের অধীনে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির প্রকল্প গৃহীত হয়। উইন্ডহাম সিটি কাউন্সিল ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী স্মৃতিস্তম্ভ বাস্তবায়নের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে কাউন্সিলর ড. জেনি বেরেরাকে চেয়ারপারসন করে একটি প্রজেক্ট রেফারেন্স গ্রুপ গঠন করা হয়। এভাবে সবার আন্তরিক চেষ্টার মাধ্যমে স্থাপিত হয় স্থায়ী শহীদ মিনার।  

এজন্য ব্যারিস্টার খান বাংলাদেশ হাই কমিশনকে ধন্যবাদ দেন, বিশেষ করে সাবেক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন, ফেডারেল এমপি জোয়ান রায়ান এবং তৎকালীন মেয়র কাউন্সিলর জোশ গিলিগানকে ধন্যবাদ দেন, যিনি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।