logo
আপডেট : ৭ মার্চ, ২০২২ ১৯:৫৮
চারটি জেলা ঘুরেও শেষ রক্ষা হয়নি অপহরণকারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক

চারটি জেলা ঘুরেও শেষ রক্ষা হয়নি অপহরণকারীদের

মূলহোতা গাফফারসহ তার ২ সহযোগী মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে

অপহরণের শিকার কলেজ শিক্ষার্থীকে নিয়ে চারটি জেলা ঘুরেছেন অপহরণকারীরা। শুধু তাই নয়, গত দু'বছর থেকেই ঝিনাইদহের ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করে আসছে আবু জার গিফারী গাফফার।

সোমবার (৭মার্চ) র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন।

র‍্যাব জানায়, আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে অপহরণকারীরা ব্যবহার করেছে বিভিন্ন লোকাল রোড। এর পরেও র‍্যাবের জালে ধরা পরেেছন তারা।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ঝিনাইদহের কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মূলহোতা গাফফারসহ তার ২ সহযোগী মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। অপহৃত ভূক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আবু জার গিফারী গাফফার (৩৫), সাব্বির হোসেন (২২)ও হাফিজুর রহমান (৪৬)।

তিনি বলেন,ঝিনাইদহে একটি কলেজের একাদশ শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হন। গত ৫ মার্চ বিকেলে ভিকটিম ও তার এক সহপাঠী প্রাইভেট পড়া শেষে রিক্সাযোগে বাসায় ফেরার পথে গাফফার গং ঝিনাইদহ থানার শৈলকূপার একটি রাস্তা হতে তাকে মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গাফফার জানায় যে, ভিকটিম একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। সম্প্রতি সে এসএসসিতে খুব ভালো ফলাফল করায় গাফফার ধারণা করে যে, ভিকটিম তার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মূলত এই কারণেই সে তাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। ঘটনার দুই দিন পূর্বে ঝিনাইদহ কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় গাফফার তার সমমনাদের নিয়ে অপহরণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা মোতাবেক গাফফার প্রাইভেট পড়া থেকে বাসায় যাওয়ার পথে ভিকটিমকে রাস্তা হতে অপহরণ করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে সে ভিকটিমকে প্রথমে রাজবাড়ীতে তার এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার দুইজন সহযোগীকে পরিবর্তন করে নতুন দুজন সহযোগীসহ ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসে।

সেখানে আশ্রয় না পেয়ে ভিকটিমকে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুনরায় ভিকটিমকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে গাফফার ভিকটিমকে এসিড এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখায় যাতে ভিকটিম চিৎকার বা আওয়াজ না করে।

এরপর মানিকগঞ্জ হতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।