বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর চলমান আপিল মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের আজ মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় রয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী এ মামলায় গ্রাম পুলিশদের পক্ষে শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব।
তিনি জানান, এই শুনানি উপলক্ষে আজ সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর শত শত সদস্য উপস্থিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর ৩৫৫ জন সদস্যের করা রিট পিটিশনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে এবং গ্রাম পুলিশ বাহিনীর দফাদার ও মহল্লাদারদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৯তম এবং ২০তম গ্রেডে বেতন প্রদানের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ২০১১ সালের ২ জুন থেকে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সব বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি শুনানি গ্রহণ করে লিভ আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দাখিল করে।
জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ পেপারবুক আকারে জমা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই আপিলটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় এসেছে।
ব্যারিস্টার পল্লব আরো জানান, প্রায় ২২৬ বছর আগে চৌকিদার দফাদারদের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু তাদের ছিল না কোনো সরকারি অনুদান বা বেতন ভাতা। অবহেলিতভাবে জীবন যাপন করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে এবং রাষ্ট্রকে তারা সেবা দিয়ে আসছেন দিবারাত্রি।
বর্তমানে একজন গ্রাম পুলিশ বাহিনীর মহল্লাদার ৬৫০০ টাকা এবং দফাদার ৭০০০ টাকা ভাতা পান, যা ২০১৭ সালে ছিল মাত্র ৩৪০০ টাকা। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভীষণ কষ্টে দিন কাটে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর রিট বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দফাদার উজ্জ্বল খান এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুল দেওয়ান বলেন, গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে, মনোযোগ সহকারে প্রান্তিক জনগণের জন্য কাজ করেন, রাষ্ট্রের জন্য কাজ করেন, ২৪ ঘণ্টাই জনগণের সেবায় নিয়োজিত।
কিন্তু তাদের সামান্য পরিবার পরিচালনার জন্য বেতন ভাতা ও নিয়মিত পান না। কাজেই তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ভীষণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। আমরা আমাদের হাইকোর্টের দেওয়া জাতীয়করণের রায়টি বাস্তবায়ন চাই।