logo
আপডেট : ৮ মার্চ, ২০২২ ১৯:৩৪
যুদ্ধের ১৩ দিনে ২০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে: জাতিসংঘ

যুদ্ধের ১৩ দিনে ২০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে: জাতিসংঘ

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার আক্রমণের মুখে এখন পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন থেকে ২০ লাখেরও বেশি লোকজন পাশর্^বর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, বর্তমান ইউক্রেন সংকট দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সতর্ক করে আরো বলে, ‘ইউক্রেন থেকে পালানো শরণার্থীদের দ্বিতীয় ঢল অনেক বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে।

‘দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের গণহারে বাস্তুচ্যুত হওয়া অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করবে’ ইউএনএইচসিআর।

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি আরো বলেন, ‘যদি যুদ্ধ চলতে থাকে তাহলে আমরা ভবিষ্যতে সম্পদহীন লোকজন দেখতে থাকব।’

‘যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে এটি ইউরোপের দেশগুলোর জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’ বলেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

অন্যদিকে পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বরাদ্দ করা মানবিক সহায়তা অপর্যাপ্ত।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব অপর্যাপ্ত।’

উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওয়েল জাবলনস্কি পোল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যম পোলস্যাট নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ‘যেই পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। কারণ এই টাকাগুলো ইইউভুক্ত সব দেশের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হবে।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে এবং তার মধ্যে ৯০ শতাংশ ইউক্রেনীয় নাগরিক পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।

জাবলনস্কি বলেন, প্রাথমিক অনুমানে দেখা যাচ্ছে যে, ‘১০ লাখ শরণার্থীকে পোল্যান্ডে আশ্রয় দিতে ২.২ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে যদি আমরা তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক বিমার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিই।’

‘এই অর্থ হিসাব করা হয়েছে এক মিলিয়ন মানুষের জন্য। তবে আমাদের অনেককেই আশ্রয় দিতে হবে।’ জাবলনস্কি।

সিএনএন, বিবিসি