logo
আপডেট : ৮ মার্চ, ২০২২ ২৩:০০
মাদক মামলায় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
পরীমনির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলা চলবে
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরীমনির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলা চলবে

চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির বিরুদ্ধে করা মাদক মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ফলে পরীমনির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলার বিচার কাজ চলতে আপাতত আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। পরীমনির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।

পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার কার্যক্রম তিনমাসের জন্য স্থগিত করে গত পহেলা মার্চ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে পরীমনির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এ অবস্থায় মামলাটি বাতিল চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। আবেদনে এ মামলায় নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।

গতবছর ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‌্যাব। এসময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধারের তথ্য জানায় র‌্যাব।

পরদিন ৫ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার ২ সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। রিমান্ড শেষে গতবছর ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। গতবছর ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার অপর দুই আসামি হলেন-পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপু ও খালু কবীর হোসেন জমাদ্দার।

এর আগে গতবছর ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমনির জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে আদেশ দেন। পহেলা সেপ্টেম্বর রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এই রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত গতবছর ৩১ আগস্ট পরীমনির জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।

এরপর পহেলা সেপ্টেম্বর কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি।