logo
আপডেট : ৯ মার্চ, ২০২২ ২১:২৮
রাজারবাগের পীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজারবাগের পীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ছবি : সংগৃহীত

মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমানসহ আট জনের বিরুদ্ধে এসিড দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ মার্চ) বাদীপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উল্যাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, সোমবার ঢাকার এসিড দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.এইচ.এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালতে একরামুল আহসান (কাঞ্চন) বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। মঙ্গলবার পীর দিল্লুর রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী আবুল বাসারের বিরুদ্ধে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেয় আদালত। পীরসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা আমলে নেয়নি আদালত।

মামলায় আরো যাদের আসামি করার আবেদন করা হয় তারা হলেন-মফিজুর রহমান, মেসবাহ উদ্দিন সুমন, নাহিদা আক্তার রত্মা, শাখেরুল কবির ওরফে ইকবাল, ফারুকুর রহমান এবং মফিজুল ইসলাম ওরফে জামাই মফিজ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৪ জুন দিল্লুর রহমানের নির্দেশনায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় তার (দিল্লুর রহমানের) দুই সহোদরসহ একরামুল আহসানের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় এসিড অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা করেন আবুল বাসার। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৪ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার বিচারে নির্দোষ মর্মে খালাস পান আসামিরা।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, একরামুল আহসানের পৈত্রিক ভিটা/বাড়ি, ফ্যাক্টরী গ্রাস করতে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করে আসামিরা। আপন ভাইদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করাসহ পীরত্বে আনুগত্য স্বীকার না করায় ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন দিল্লুর রহমান। আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ মামলাবাজ দলের সক্রিয় সদস্য।

একরামুল আহসান ৪৯টি মামলার মধ্যে ৩৭টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এরপর তিনি গত বছরের ৭ জুন উচ্চ আদালতে একটি রীট করেন। উচ্চ আদালত রিটের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। সিআইডির তদন্তে আসামিরাসহ সিন্ডিকেটের বহু উল্লেখযোগ্য নাম এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত জেলা জজ সমপর্যায়ের একজনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে কমিটি কর্তৃক দাখিল করা মিথ্যা মামলাবাজ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যদের মামলাবাজী, অপকর্ম ও অপরাধের বিষয়টি প্রতীয়মান হয়।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর একরামুল আহসানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে অব্যাহতিসহ মামলার বাদীদের বিরুদ্ধে আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকটসহ আদালতে মামলা দায়েরের নির্দেশনা দেয় উচ্চ আদালত।