logo
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০২২ ১১:১৩
তেলের সঙ্গে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম
নজরুল ইসলাম রাজু, রংপুর

তেলের সঙ্গে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম

রংপুরের কাচারীবাজার এলাকায় কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন একজন বিক্রেতা

রংপুরে ভোজ্যতেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম। তেলের সঙ্গে দাম বেড়েছে দেশি মুরগি ও চালের। সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও তেলের বাজারে কোনো সুখবর নেই।

রংপুর জেলা ও নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা ও খোলা সয়াবিন গত সপ্তাহের মতোই ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বোতলজাত পাঁচ লিটার তেল আগের মতোই ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তা সহজেই মিলছে না। বেশি সংকট দেখা দিয়েছে পাঁচ ও দুই লিটার বোতলের।

গত সপ্তাহের বাজারের তুলনায় দেশি মুরগি ৪৫০-৪৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ৮-১০ টাকা বেড়ে ১৭০-১৭৫ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৭৫-২৮০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ২৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কিছুটা কমে ৫৯০-৬২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮২০-৮৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে ।

প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত। খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো দাম দেশি বড় ৫০-৫৫ টাকা, ছোট ৩০-৩৫, গাজর ৩০ টাকা, মটরশুঁটি ৬০ টাকা, করলা ১২০-১৩০ টাকা, ধনিয়া ৩৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৪৫ টাকা, সিম ৪০ টাকা, শসা ৪৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ১২০ টাকা, পটল ১২৫ টাকা, সজনে ২২০ টাকা, মিষ্টি আলু ২০-২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়া বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, লাউ ৫৫ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, লেবু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা বেড়েছে। সপ্তাহে স্বর্ণা চাল মোটা ৪৬-৫০ টাকা, মিনিকেট ৭০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে খোলা চিনি ৮৫ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, মসুর ডাল মাঝারি ১১০ টাকা, চিকন ১২০ টাকা, আটা প্যাকেট ৪২ টাকা ও খোলা ৩৫ টাকা এবং ময়দা ৫৫-৬০ টাকায় প্যাকেট বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ও রসুন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি খুচরা বাজারে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ২০ টাকা। শিল আলু আগের ২৫-২৬ টাকা।

বাজারে আসা স্কুল শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে আমরা যারা চাকরিজীবী, আমাদের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে। আশা করব সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর যারা গরিব দিন এনে দিন খায় তাদের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে। বাজারে সব জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে।’