সভ্যতার ক্রমবিকাশে যেসব উপাদান সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছে তন্মধ্যে মেধাসম্পদ (Intellectual Property) অন্যতম। মেধাবী মানুষের শ্রম ও নিষ্ঠায় সৃষ্ট কর্ম যেমন এগিয়ে যাওয়ার সুযোগকে করেছে অবারিত, তেমনি উৎসাহিত করেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে। মেধাবী মানুষের উদ্ভাবনী কর্ম অর্থনৈতিকভাবে একটি জাতিকে করেছে সমৃদ্ধ; সাংস্কৃতিক চেতনায়ও এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সৃষ্টিশীল কর্ম পরিণত হয়েছে সম্পদে। যে সম্পদের মালিক মেধাবী মানুষটি।
মেধাসম্পদের ধারণাটি মূলত ১৬শ’ শতাব্দীতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন তথা শিল্পবিপ্লবের সাথে সাথে পরিচিতি পেতে থাকে। সাধারণত কোনো ব্যক্তির মেধাগত উদ্ভাবন হিসেবে কোনো কর্ম, বিশেষ করে সাহিত্য ও শিল্প-সংস্কৃতি, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্ককে মেধাসম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু পরবর্তীতে পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্ম, ডিজাইন, মডেল, স্থাপত্যকর্ম, রিলেটেড রাইটস (Related Rights) বা আনুষঙ্গিক অধিকার, প্লান্ট তৈরি, ডাটাবেস, ট্রেডসিক্রেট ভৌগোলিক নির্দেশক সবকিছুই মেধাসম্পদের আওতাভুক্ত। অর্থাৎ সময় ও পরিবেশ পরিক্রমায় মেধাসম্পদের আওতা যেমন বেড়েছে, সংজ্ঞারও পরিবর্তন হয়েছে।
এটি অপ্রত্যাশিত নয় যে, আগামী প্রজন্মের মেধা বিকাশের বহুমুখিনতা মেধাসম্পদের আওতাকে অধিকতর সম্প্রসারিত করবে। মেধা বিকাশের স্বার্থে মেধাসম্পদ সুরক্ষা অপরিহার্য এবং মেধাসম্পদ সুরক্ষার ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বহুপাক্ষিক ও বহুমাত্রিক। যার সুবিন্যস্ত রূপরেখাই কপিরাইট আইন, ট্রেডমার্কস আইন, পেটেন্ট আইন, ট্রেডসিক্রেট আইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন ও ভৌগোলিক নির্দেশক আইন ইত্যাদি। মেধাসম্পদ আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো মেধাকর্মকে উৎসাহিত করা। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যক্তি বা সংস্থাতে তার বা তাদের মেধাকর্মের ওপর অধিকার প্রদান করে। এই আইনগত দিক প্রতিষ্ঠার পর মেধাকর্মটি সম্পদে পরিণত হয়ে অর্থনৈতিক প্রণোদনাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করে। আর এই নিশ্চয়তা কোনো মেধাবী মানুষকে তার সেবাকর্মের প্রতি অধিকতর উৎসাহী করে তোলে, যা সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হয়ে ওঠে।
এই অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি বোধ করি বিবেচনায় নেওয়া হয় তখনই, যখন অধিকার লঙ্ঘন, হরণ বা ভঙ্গের কারণ ঘটে। মেধাসম্পদের অধিকারমূলক আইন ভঙ্গের প্রবণতাও পরিলক্ষিত হতে থাকে বিভিন্নরূপে, বিভিন্ন আঙ্গিকে। কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেড মার্কস, ট্রেড সিক্রেট বিষয় আইন ভঙ্গের অপকর্ম চৌর্যবৃত্তি (Piracy) ও নকলকরণ (Counterfeiting) হিসেবে পরিগণিত হতে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন Property Rights Alliance- এর Intellectual Property Rights Index- এর ২০১৮ সালের জরিপ উপাত্ত অনুযায়ী, বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে মেধাসম্পদ সুরক্ষায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩তম এবং এশিয়া-ওশেনিয়ার ১৯টি দেশের মধ্যে ১৯তম অবস্থানে রয়েছে। পৃথকভাবে কপিরাইট সুরক্ষায় ১০০তম এবং পেটেন্ট সুরক্ষায় ১০৩তম অবস্থানে রয়েছে। এই পরিসংখ্যানে প্রতীয়মান যে, বাংলাদেশ তার মেধাসম্পদের চৌর্যবৃত্তি বা নকল প্রতিরোধে প্রায় ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ আমরা সচেতন নই। যে যৎসামান্য সচেতন, মেধাসম্পদ আইনের প্রয়োগে আন্তরিক না থাকায় সেই সচেতনতাও কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে না।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণপূর্বক বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি এক উদীয়মান শক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। ২০১৯-২০-এর বাজেট বক্তৃতার প্রথম অধ্যায়ে বলা হয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমাদের বাজেটের আকার ছিল ৬৪ হাজার কোটি টাকা আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা, যা ২০০৫-০৬ এর তুলনায় আটগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আইএমএফ’র সর্বশেষ জিডিপি র্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশ পিপিপি ভিত্তিতে পৃথিবীতে এখন ৩০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। খোদ বিশ্বব্যাংক বলছে, অল্প সময়ের মাঝে ছোট্ট একটি ভূখণ্ড সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ নিয়ে যেভাবে উন্নয়ন ঘটিয়েছে তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিস্ময়।
উন্নয়নশীল অর্থনীতির এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রয়োজন মেধাসম্পদের বিকাশ ও সংরক্ষণ। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ থেকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ধারণা ক্রমশই গুরুত্ব পাচ্ছে এই মেধাসম্পদকে ঘিরে। মেধাসম্পদের উন্মেষ, সৃষ্টি, বিকাশ এবং তাকে সাহিত্য, সংস্কৃতি, তথ্যপ্রযুক্তি, আর শিল্প-ডিজাইন, পেটেন্ট পণ্যতে সংশ্লেষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিযোগী করে তোলার বিষয়টি সমধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।বিশ্বায়নের এ যুগে মেধাসম্পদ এখন আন্তর্জাতিক পরিম-লে এক গুরুত্ববহ খাত। এ পরিপ্রেক্ষিতে শুধু শিল্পোন্নত দেশই নয়, উন্নয়নশীল দেশও তাদের মেধাসম্পদের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় প্রণয়ন করছে নতুন আইন, সংশোধন করছে পুরনো আইন, আর যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন চুক্তিতে। সৃষ্টিশীলতার এই সম্পদের সুরক্ষায় বাংলাদেশও সংহত করছে তার মেধাসম্পদ সুরক্ষা আইন। এটি একটি স্বীকৃত বিষয় যে, সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন পণ্য বা সেবার সৃষ্টি নির্ভর করে একটি দেশ তার মেধাসম্পদের ব্যবস্থাপনায় কতটুকু পারঙ্গম। একজন ব্যক্তি বা উদ্যোক্তা তাদের সৃষ্টিশীলতা, উদ্ভাবন আর শক্তিশালী ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের আলাদা বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত করেন এবং অবশ্যই সেই সমাজ বা রাষ্ট্রে যেখানে মেধাসম্পদের অধিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা রয়েছে। বাংলাদেশে মেধাসম্পদের ধারণাটি ক্রমশই পরিচিতি এবং গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভোক্তা, স্বত্বাধিকারী এবং নীতিনির্ধারণের জন্য এ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ পাইরেসি বা চৌর্যবৃত্তি- বিশেষ করে ডিজিটাল পাইরেসি। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার নেতিবাচক প্রভাবে মেধাসম্পদের অগ্রসরমানতা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন- যা সৃষ্টিশীলতাকে করছে বিঘ্নিত। কার্যত মেধাসম্পদের অধিকার যদি লঙ্ঘিত হয়, মেধাসম্পদের চৌর্যবৃত্তি যদি প্রতিরোধ করা না যায় তবে মেধাবী মানুষেরা হতোদ্যম হবেন, সৃষ্টিশীলতা থমকে যাবে, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা হবে সুকঠিন।
বিশ্ব মেধাসম্পদ উন্নয়নে গড়ে ওঠা সংস্থা World Intellectual Property Organisation বা WIPO অভিনব সব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রেক্ষাপটে মেধাসম্পদের সমূহ চ্যালেঞ্জ নিয়েও উদ্বিগ্ন। মেধাসম্পদের অধিকার রক্ষায় যেমন আইন আছে, আছে প্রাতিষ্ঠানিক তৎপরতা তেমনি আইনভঙ্গের প্রবণতাও পরিলক্ষিত হচ্ছে নানা কৌশলে। বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা, প্রায়োগিক সমস্যা, প্রযুক্তিগত সূক্ষ্ম চৌর্যবৃত্তি স্বত্ববান আর সুবিধাভোগীদের অসচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহ বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতাও মেধাসম্পদ সুরক্ষার অন্তরায়। গ্রন্থের পূর্ব অধ্যায়গুলোতে মেধাসম্পদে বৈশিষ্ট, গুরুত্ব, স্বত্বাধিকারীর আইনগত অধিকার ভঙ্গের কারণে আর্থ-সামাজিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার যে ধারণা দেওয়া হয়েছে তার অনুবর্তিতায় স্বাভাবিকভাবেই এ সম্পদটির সুরক্ষার আলোচনা প্রাসঙ্গিক।
মেধাসম্পদের সুরক্ষার বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয়। Universal Declaration of Human Right (1948)- এর আর্টিকেল ২৭(২) এ উল্লেখ রয়েছে,, Everyone has the Right to the Protection of the oral and material interests resuting from any Scientific, Literary of Artistic production of which he is the author’. মেধাসম্পদের স্বত্বাধিকারীকে তার উদ্ভাবিত কর্মের অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধে প্রতিটি দেশেই কমবেশি আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে। একমাত্র একটি সুসংহত ও কার্যকর প্রায়োগিক আইনি কাঠামোই উদ্ভাবনী আর সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করতে সমর্থ হয়- যা সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকেই সুসংহত করে।
মেধাসম্পদের চৌর্যবৃত্তি সে কপিরাইটের ক্ষেত্রেই হোক কিংবা পেটেন্ট, ট্রেড ডিজাইন, বা ট্রেডসিক্রেটের ক্ষেত্রেই হোক নিঃসন্দেহে তা অপরাধ। কিন্তু এটির সাথে সমাজের এক অগ্রসর অংশ জড়িত থাকে বিধায় সাধারণ চুরির মতো এ অপরাধকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সম্ভবত মেধাসম্পদের চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার এটি একটি অন্যতম কারণ। আমরা ব্যাংক ডাকাতি বা ছোটখাটো চুরিকর্মকে ধিক্কার জানাই, কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যারের মতো অতীব মেধাকর্ম, যার পেছনে আর্থিক ব্যয়সহ প্রচুর শ্রমঘণ্টা ব্যয় হয়েছে, তার লাখো কপি অবলীলায় চুরি হয়ে গেলেও আমরা নিশ্চুপ থাকি।
হতে পারে অন্যান্য বস্তুগত সম্পদের চুরির মতো মেধাসম্পদ চুরির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় না বা অবস্থার বিবেচনায় তা গুরুত্ব পায় না। এ জন্যই সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব থাকা সত্ত্বেও সামাজিকভাবে এটা অপরাধ হিসেবে গুরুত্ব পায় না। অনেক অভিমত বিশ্লেষণপূর্বক দেখা যায়, পাইরেসির পেছনে যেসব কারণ বিদ্যমান তন্মধ্যে আর্থিক সুবিধার বিষয়টি অগ্রগণ্য। তবে এটাও সত্য যে, মেধাসম্পদের চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি অপরাধ কি-না তা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল। আমরা যে সমাজে বাস করি তার শিক্ষার হার, দরিদ্রতা, বেকারত্ব, উচ্চমূল্য, আইনের সীমাবদ্ধতা ও প্রায়োগিক দুর্বলতা, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত দুর্বলতাও সেই সমাজের মেধাকর্মের চৌর্যবৃত্তি প্রবণতার জন্য দায়ী।
এহেন অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কতিপয় ইউরোপীয় দেশে মেধাসম্পদ চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধে মেধাস্বত্ব আইন প্রণয়ন শুরু করে। ১৪৭৪ সালে ইতালিতে পেটেন্ট অধিকারের পক্ষে আইন অনুমোদন করে। তবে শিল্প বিপ্লবের পর মেধাসম্পদের অধিকার রক্ষায় বহুজাতিক উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় ১৮৮৩ সালে প্যারিস কনভেনশনে, যার লক্ষ্য ছিল মেধাসম্পদ হিসেবে Industrial Property’র সুরক্ষা প্রদান। পরবর্তীতে তথ্য ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যে সৃষ্ট মেধাসম্পদের অধিকার স্বীকৃতি পায় ১৮৮৬ সালের বার্ন কনভেনশনে। মেধাসম্পদের গুরুত্ব ও এর সুরক্ষার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং বিবেচনায় বিশ্বসম্প্রদায় ১৯৬৭ সালে গড়ে তোলে World Intellectual Property Organization WIPO.
বিভিন্ন দিকের আলোচনার আইনগত, প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক, প্রাযুক্তিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মেধাসম্পদ সুরক্ষার বিশেষ কতিপয় সম্ভাব্য পদক্ষেপ হল ক) আইনি দায়বদ্ধতার যথাযথ প্রতিপালন, খ) বিদ্যমান আইনের যুগোপযোগীকরণ, গ) আইনের যথোপযুক্ত প্রয়োগ, ঘ) প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার কাঠামোগত পুনর্বিন্যাস, ঙ) ভোক্তা ও স্বত্বাধিকারীর সচেতনতা, চ) বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিতকরণ।
মেধাসম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে বড্ড ক্ষতি হয়ে যায় আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিতে, গতিহীন হয়ে পড়ে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির অগ্রসরমানতা। হতে পারে মেধাবী মানুষেরা তাদের সৃষ্টিশীলতা নিয়ে এতটাই নিমগ্ন থাকেন যে, অধিকার বা স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি তাদের কাছে ততটা গুরুত্ব পায় না। এই মেধাসম্পদের কারিগরদের অধিকার ভোগের সুযোগ সৃষ্টি এবং পাইরেসি বা কাউন্টারফেইটিংয়ের স্বরূপ উদ্ঘাটন এবং তা প্রতিরোধ করার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির অগ্রসরমানতা নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে মেধাসম্পদ সুরক্ষার বিষয়টি তাই অপরিহার্য।
লেখক : জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক