logo
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২২ ০৮:৩৪
নির্বাচনে ব্যাপক পরিবর্তন
ব্যালন ডি অরে ভোট দিতে পারবে না বাংলাদেশ
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্যালন ডি অরে ভোট দিতে পারবে না বাংলাদেশ

ব্যালন ডি অর জয়ে কীর্তি গড়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি আর তার দখলে। সাতবার ব্যালন ডি অর জিতেছেন বার্সেলোনার সাবেক এই খেলোয়াড়। সেই ব্যালন ডি অরের জন্য সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামী মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে এসব নিয়ম মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

প্যারিস সেন্ত জার্মেইতে খেলা লিওনেল মেসি গত মৌসুমে সর্বশেষ ব্যালন ডি অর জিতেছেন। একই সময়ে নারীদের ব্যালন ডি অর জয় করেন বার্সেলোনার অ্যালেক্সিয়া পুতেলাস। তবে পুতেলাসের ব্যালন ডি অর জয় নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকলেও মেসির জয় ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছিল। অনেকের মতে ব্যালন ডি অর জয়ের সবচেয়ে যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানদভস্কি ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ।

ফ্রান্স ফুটবলের এডিটর প্যাসকাল ফেরে লেকিপেকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে চারটি পরিবর্তনের কথা বলেছেন। প্রথম পরিবর্তন হচ্ছে- সময়। এখন থেকে পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে পঞ্জিকাবর্ষ বিবেচনা করা হবে না। বরং বিবেচিত হবে ইউরোপীয় ফুটবল মৌসুম। অর্থাৎ এ বছরের পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০২১-২২ সালের পারফরম্যান্স বিবেচনায় আনা হবে। এটা শেষ হবে নারীদের ইউরো ২০২২ টুর্নামেন্টের পর।

ফলে এবার পুরুষদের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য কাতার বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হবে না। এ টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্স ২০২৩ সালের পুরস্কারের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।

চেলসি ও আইভরি কোস্টের সাবেক তারকা দিদিয়ের দ্রগবাকে ভোট প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরো আছেন ট্রুয়ং আন এনগক ও চেক জুনিয়ার কারোলিনা হাভাকোভা।

তৃতীয় পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাংলাদেশ। নতুন নিয়ম অনুসারে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা ১০০টি দেশ ভোট দিতে পারবে। নারীদের ক্ষেত্রে শীর্ষ ৫০ দেশকে বিবেচনা করা হবে।

চতুর্থ ও শেষ পরিবর্তন হচ্ছে- পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিচার করা হবে না একই সঙ্গে দলীয় পারফরম্যান্স বিচার করা হবে। একই সঙ্গে ফেয়ার প্লের বিষয়টিও বিবেচনায় আসবে। এছাড়া জয়ী নির্বাচনের বেলায় তার অতীত বিবেচনা করা হবে না। অতীতে তার ভালো খারাপ রেকর্ড, অর্জন ধর্তব্যে আনা হবে না।