logo
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২২ ১৬:৩২
১৫ মার্চ থেকে শ্রেণিকক্ষে পুরোদমে পাঠদান শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ মার্চ থেকে শ্রেণিকক্ষে পুরোদমে পাঠদান শুরু: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি

আগামী ১৫ মার্চ থেকে শ্রেণিকক্ষে পুরোদমে পাঠদান শুরু হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শনিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর টিকাটুলিতে শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে লীলা নাগ ভবন উদ্বোধন করার পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব বিষয়ে সশরীরে ক্লাস শুরুর বিষয়টি আমরা আগে থেকেই ভাবছিলাম। তবে করোনার কারণে বাধ্য হয়ে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছিল। আশার কথা দেশে এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১৫ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পুরোপুরি পাঠদান শুরু হবে।
তিনি বলেন, নতুন কারিকুলাম চালু হলে পরীক্ষার সংখ্যা কমবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতিও দূর হবে। পাশাপাশি পরীক্ষা নির্ভর মূল্যায়ন থেকে বের হয়ে আসা যাবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনের লেখাপড়ার মূল্যায়ন প্রতিদিনই হবে। বছর শেষে সীমিত আকারে পরীক্ষা হবে, তবে সারা বছরের মূল্যায়ন সমন্বয় করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রায় দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা হয়। সেসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করে তিনটি করে বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।

এ বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত আকারে সশরীরে ক্লাস শুরু করা হলেও আবারও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রনে’র সংক্রমণ বাড়ায় ২১ জানুয়ারি থেকে দুই দফায় ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। সর্বশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয় সীমিত আকারে। আর ২ মার্চ থেকে সীমিত আকারে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

এদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই রাজধানীর বেশ কিছু স্কুলে পুরোদমে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় অভিভাবকরাও এতে সায় দেন ফলে বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক কোনো মনোভাব কোথাও দৃশ্যমান হয়নি।