logo
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২২ ১৬:৫৩
হাদিসুরের মরদেহ আসবে রোববার বিকেলে
নিজস্ব প্রতিবেদক

হাদিসুরের মরদেহ আসবে রোববার বিকেলে

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুর রহমানের মরদেহ আগামীকাল রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে দেশে আসবে।

রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী ভোরের আকাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, 'মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ রোমানিয়ার পথে। গভীর রাতে বুখারেস্টে পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছি।'

হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় পাঠানোর সব ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে দাউদ আলী জানান, রোববার (১৩ মার্চ) বিকেলে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।'

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক হাদিসুর রহমান। ইউক্রেনে গিয়ে জাহাজে বোমা
হামলায় নিহত হন তিনি। (ফাইল ছবি)

 

এর আগে শুক্রবার (১১ মার্চ) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, 'বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আসছে রোববার অথবা সোমবার।'

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মালদোভা পৌঁছেছে। আশা করছি, সকাল (শুক্রবার) নাগাদ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে।

সেখানে কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে ১৩ অথবা ১৪ তারিখ দেশে পৌঁছাবে।
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত হন ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের নাবিক থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো.হাদিসুর রহমান।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন জাহাজটি ড্যানিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল।

জাহাজটি মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। পরে ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান।

পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়।

সেখান থেকে তাদের প্রথমে মালদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়।
৯ মার্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও হাদিসুর রহমানের মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি। তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল।