logo
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৩:২১
হাদিসুরের মরদেহ আসছে না আজ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

হাদিসুরের মরদেহ আসছে না আজ

'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে 'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ আজ আসার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইট চলতে না পারায় আজ আসছে না।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল ১২টার পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

মরদেহটি রোমানিয়া থেকে তুরস্ক হয়ে দেশে আসার কথা ছিল।

সে অনুযায়ী শনিবার রোমানিয়ার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টায় বুখারেস্ট থেকে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর পর সেখানে ভারী তুষারপাতের কারণে ফ্লাইটটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (১৩ মার্চ) রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (১১ মার্চ) গভীর রাতে ইউক্রেন থেকে মালদোভা হয়ে রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছায় হাদিসুরের মরদেহ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় পাঠানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর শনিবার রাত ১০ টায় বুখারেস্ট থেকে মরদেহটি তার্কিস ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন 'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজটি ড্যানিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল।

জাহাজটি মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল।

এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। পরে ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান।

পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়।

সেখান থেকে তাদের প্রথমে মালদোভা, পরে রোমানিয়া হয়ে ৯ মার্চ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তারা সবাই সুস্থ আছেন এবং বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে।