logo
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৪:৫৬
নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে: শামসুন্নাহার ভূঁইয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক

নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে: শামসুন্নাহার ভূঁইয়া

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে যদি আরো উন্নতির পথ দেখতে হয়, তাহলে নারীদেরকে হয়রানি অত্যাচার-নিপীড়ন ও ধর্ষণ থেকে মুক্ত করতে হবে।

রোববার (১৩মার্চ) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নারী কমিটি ও ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টারের (ডব্লিউআরসি) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নারীর প্রতি বৈষম্য সহিংসতা ও নিপীড়ন ঠেকাতে ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

ডব্লিউআরসি ও নারী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, ফারমিনা কাশেম মিশুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারী কমিটির চেয়ারম্যান ও ডব্লিউআরসি সভাপতি শেহেলি আফরোজ লাভলী।

জেন্ডার ইকুয়ালিটি এন্ড ডাইভারসিটি চেয়ারম্যান ডব্লিউআরসি রুহুল আমিন। ভাইস চেয়ারম্যান ডব্লিউআরসি আবুল কালাম আজাদ। মেম্বার সেক্রেটারী এনসিসিডব্লিউই চৌধুরী আশিকুল আলম। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদসহ নারী কমিটি ও ডব্লিউআরসির নেতৃবৃন্দরা।

তাদের সাত দফা দাবিগুলো হলো, নারীর জন্য নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত কর্মক্ষেত্র তৈরি করা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সনদ ১৯০ ও ১৮৯ অনুস্বাক্ষর করা। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে সুনির্দিষ্ট ধারা যুক্ত করা।

নারীর প্রতি অসম্মানজনক আচরণ ও যৌন হয়রানি বন্ধসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। সকল প্রতিষ্ঠানে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার প্রতিষ্ঠা করা, এবং শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

শ্রম আইনের ৩৩২ ধারায় নারীর প্রতি অশ্লীল ও অভদ্রজনিত আচরণ ঘটে যাওয়া সহিংসতাকে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরাসহ শাস্তির পরিমাণ ও জরিমানা বৃদ্ধি করা।
সকল ক্ষেত্রে হয়রানির বিষয়টি শূন্য সহিষ্ণুতা দেখানো এবং যৌন হয়রানি বিরোধী কমিটি গঠন করা।

ট্রেড ইউনিয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং তাদেরকে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব প্রদান করার দাবি তুলে ধরা হয়।


বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে থাকলেও ক্ষমতায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আর্থিক সচ্ছলতার জায়গায় এখনো অনেকটা পিছিয়ে। ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন-নির্যাতন একটা বড় সমস্যা হয়ে রয়ে গেছে।

বক্তারা আরো বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে পদার্পণ করেও সমঅধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দেশের বিদ্যমান আইনেও নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য এখনো চরম মাত্রায় বিরাজমান।
কর্মসংস্থানের সহিংসতা নিয়ে বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি শনাক্ত করে কর্মপরিবেশ উন্নয়নে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের জুনে আইএলও সম্মেলনে গৃহীত সনদটিতে বাংলাদেশ এখনো অনুস্বাক্ষর করেনি।