logo
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৮:৩২
মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশের মেয়েরা
পাকিস্তান বলেই জয়ের স্বপ্ন প্রবল
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তান বলেই জয়ের স্বপ্ন প্রবল

প্রথম ম্যাচে আশা জাগিয়েও হার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। অভিষেক ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে এখনো জয়হীন বাংলাদেশ।

হ্যামিল্টনে সোমবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে নিগার সুলতানারা। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। হেরেছে সব কটিতে। পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচেও রয়েছে দলটি। এর একধাপ উপরে বাংলাদেশ।

প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই জয়ের আশা প্রবল বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে সাত প্রতিপক্ষের মধ্যে শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশ কেবল পাকিস্তানেরই কাছাকাছি। মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলাফলেও সেটিই বলছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ওয়ানডেতে মোকাবিলা করেছে ১১ ম্যাচে। পাকিস্তানের জয় ছয়টি, বাংলাদেশের পাঁচটি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জয় এই দলের বিপক্ষে। ওই পাঁচ জয়ের তিনটিই এসেছে সবশেষ চার ম্যাচে।

সবশেষ দুই লড়াইয়েও পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, দুটিই দেশের বাইরে। একটি লাহোরে ২০১৯ সালে, আরেকটি গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। এই দুটি ম্যাচেই অবশ্য লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। একটিতে এক বল বাকি রেখে এক উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ, আরেকটিতে জয় দুই বল বাকি রেখে তিন উইকেটে।

তবে জয় মানেই তো বাড়তি আত্মবিশ্বাস। বিশ্বমঞ্চে প্রিয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে গতকাল রোববার হ্যামিল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানার কণ্ঠে ঝড়ে পড়ল আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘সত্যি বলতে আমরা ওদের খুব ভালোভাবে চিনি। ওদের সঙ্গে অনেক খেলেছি আমরা। খুব ভালো ধারণা আছে ওদের নিয়ে। আমি মনে করি, বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম জয় পাওয়ার খুব ভালো সুযোগ আছে।’

বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় এখন এই দুই দল আছে তলানিতে। দুই ম্যাচে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। তবে হেরে যাওয়া দুই ম্যাচে লড়াইয়ের ছাপ ঠিকই রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০৭ রানে আটকে রেখে রান তাড়ায় দারুণ শুরুর পরও শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে আটকে যেতে হয়েছে। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঝড়ো শুরুর পর পথ হারিয়ে খুব বড় হয়নি স্কোর, হারতে হয়েছে ৯ উইকেটে।

ওই দুই ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলোই একসঙ্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে মেলে ধরতে চান নিগার। তিনি বলেন, ‘গত দুই ম্যাচে মেয়েরা যেভাবে খেলেছে, তা দুর্দান্ত। হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। তবে আমি মনে করি, গত দুই ম্যাচে অনেক উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলাররা যেমন করেছে এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স দারুণ ছিল। যদি আমাদের ব্যাটিং ও বোলিং পরিকল্পনার বাস্তবায়ন একসঙ্গে করতে পারি, তাহলে দারুণ ম্যাচ হবে।’

প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলেছে ডানেডিনে। এর আগে প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে নেলসনে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের ভেন্যু হ্যামিল্টনে এখনো না খেললেও অন্য ম্যাচগুলি থেকে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন নিগার।
এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উইকেট দেখা গেছে এই মাঠেই। এখানে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩১০ রান, ইংল্যান্ড রান তাড়ায় গিয়েছে ২৯৮ পর্যন্ত। ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতেছে ২৬০ রান করে। সবশেষ ম্যাচে শনিবার স্মৃতি মান্ধানা ও হারমানপ্রিত কৌরের সেঞ্চুরিতে ভারত গড়ে ৩১৭ রানের পাহাড়। রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ একশ ছাড়ায় ১২ ওভারেই!

বাংলাদেশ অধিনায়কের ধারণা, তাদের ম্যাচেও উইকেট একইরকম থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা নেলসনে ও ডানেডিনে খেলেছি। আমার ধারণা, উইকেট একইরকম হবে এখানে। কয়েকটি ম্যাচ দেখেছিও এখানে। উইকেট ভালো হবে বলেই মনে করি।’ তিন দিনে দুই ম্যাচ খেলার পর ছয় দিন বিরতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়টা দল দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন বলেই জানালেন নিগার, ‘আমাদের ভালো অনুশীলন সেশন হয়েছে এখানে। খুব ভালো বিশ্রামও পেয়েছি আমরা। পরের ম্যাচের জন্য আমরা প্রস্তুত।’