logo
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৮:৩৭
মোস্তাফিজকে নিয়ে হতাশ ডোনাল্ড
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মোস্তাফিজকে নিয়ে হতাশ ডোনাল্ড

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। টেস্টের প্রতি তার অনীহা আছে। তাই লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। তবে মোস্তাফিজ যে টেস্ট খেলছেন না, তাতে হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নয়া বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তিনি জানান, মোস্তাফিজ টেস্ট খেলছে না, এটি দুঃখজনক। যেকোনো দলকে একাই ধসিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে মোস্তাফিজের।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। তার আগে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে অভিষেক হয়ে যায় তার। অভিষেক টেস্টের ইনিংসে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। এরপর টেস্টে ক্রিকেটে উইকেট শিকারে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ছিল তার। তবে ২০২১ সালে এসে টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যান তিনি। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে টেস্ট খেলছেন না এই বাঁ-হাতি পেসার।

এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্টে ৩০ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। কোনো ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট এবং ম্যাচে ১০ উইকেট নিতে পারেননি তিনি। ইনিংসে তার সেরা বোলিং ৩৭ রানে ৪। আর ম্যাচে সেরা বোলিং ৬৬ রানে ৫ উইকেট।

পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে যতটা ভয়ংকর মোস্তাফিজ, টেস্টে ওভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৭১ ওয়ানডেতে ১৩১ উইকেট এবং ৬৩ টি-টোয়েন্টিতে ৮৭ উইকেট রয়েছে ফিজের।

তবে মোস্তাফিজের টেস্ট না খেলাটা হতাশ করেছে ডোনাল্ডকে। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড বলেন, ‘আমরা শরিফুল, তাসকিন এবং এবাদতকে (টেস্ট ফরম্যাটে) পেয়েছি। হ্যাঁ, টেস্ট দলের অংশ নন মোস্তাফিজ। আমি আপনাকে আগেই বলেছি, এটা দুঃখের বিষয় যে, মোস্তাফিজ আর টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু আজকাল খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পছন্দ আছে। তারা একটি ফরম্যাটে পারদর্শী হতে পারে এবং আমি মনে করি অন্য সবকিছুর সঙ্গে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা যা খেলোয়াড়দের খেলতে এবং বিপুল অর্থ উপার্জনের জন্য উৎসাহিত করে।’

মোস্তাফিজের প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড। ২০১৬ সালেই মোস্তাফিজকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন তিনি। ‘আমি মোস্তাফিজের বিশাল ভক্ত এবং আমি ২০১৬ সালে বলেছিলাম, সাদা বলের ক্রিকেটে যে কোনো ব্যাটিং লাইন আপকে সমস্যায় ফেলার জন্য ভয়ংকর কৌশল আছে তার। তাকে সহজে অনুমান করা যাবে না।’

‘আমি ফিজের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আমার মনে হয়, আমরা আড্ডায় বসতে যাচ্ছি, তাহলে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে। বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে কখনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানি না। আমাদের কী ধরনের আক্রমণ করা দরকার বলে, আপনি মনে করেন?’

ডোনাল্ড আরো বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের আলাদা দক্ষতা এবং দলে আলাদা ভূমিকা রয়েছে। সঠিক পদ্ধতিটাকে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে নেব। সাদা বল ও টেস্ট ম্যাচই আমাদের ক্রিকেটের পরিচয়। এটি অনেক বেশি বোঝার এবং এটি এমন একটি সিস্টেমে এগিয়ে নেওয়া, যেটি বাংলাদেশি বোলারদের একটি ভালো ইউনিটে পরিণত করবে।’