logo
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২২ ১৬:২০
সাক্ষ্য হয়নি অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার
আদালত প্রতিবেদক

সাক্ষ্য হয়নি অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার

অরিত্রী অধিকারী

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে দায়ের মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

সোমবার (১৪ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামী ৩ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাবিনা আক্তার দিপা ভোরের আকাশকে বলেন, ‘এদিন জমিনে থাকা দুই আসামি নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে হাজিরা দেন। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। আজ কোন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়নি, আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে দিলীপ দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করে।