logo
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২২ ১৯:০৩
নাঈম ও জাকিরের সেঞ্চুরি
আবাহনীকে হারিয়ে রূপগঞ্জের চমক
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনীকে হারিয়ে রূপগঞ্জের চমক

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনেই চমক দেখাল নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম ম্যাচেই দলটি হারিয়ে দিয়েছে শক্তিশালী আবাহনীকে। মোহাম্মদ নাঈমের সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৫ রান তোলে আবাহনী। জবাবে জাকির হোসেনের সেঞ্চুরিতে ৪৮ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায়। জয় আসে সাত উইকেটের দাপুটে ঢঙে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রূপগঞ্জের সেঞ্চুরিয়ান জাকির হোসেন।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ রূপগঞ্জের। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন মিজানুর রহমান ও জাকির হোসেন। এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ১৬৬ রান পর্যন্ত। ভাগ্য খারাপ মিজানুর রহমানের। অল্পের জন্য পাননি তিনি সেঞ্চুরির দেখা। তিনি আউট হন নব্বইয়ের ঘরে। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ৮২ বলে ৯৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও তিনটি ছক্কার মার।

এরপর অবশ্য টিকতে পারেননি ভারতের বাবা অপরাজিথ। ২৬ বলে ১১ রান করে তানজিমের বলে ক্যাচ দেন রাব্বির হাতে। এরপর অবশ্য মার্শাল আইয়ুবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান জাকির হোসেন। এই পথচলায় সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। দলীয় ২৪৮ রানের মাথায় বিদায় নেন জাকির। তিনিও মিজানুরের মতো হন রাব্বির বলে বোল্ড। যাওয়ার আগে করে যান ১১৬ বলে ১১৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও দুটি ছক্কার মার।

জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সারেন মার্শাল আইয়ুব ও ফজলে মাহমুদ। ১৫ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়্যুব। ফজলে মাহমুদ নট আউট থাকেন ১০ রানে। ৪২ ওভারে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল আবাহনী। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। টপ অর্ডারের চার ব্যাটার মুনিম শাহরিয়ার, জাকের আলী, তৌহিদ হৃদয় ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান।

এমন অবস্থায় সেঞ্চুরি করে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে নিয়ে যান মোহাম্মদ নাঈম শেখ। যার সাম্প্রতিক সময়টা যাচ্ছিল বড়ই বাজে। ১৩ ওভার শেষে তার রান ছিল ৩৫ বলে ১৯। মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে মূলত এক-দুই রান করে নিয়ে গড়েন জুটি। চারটি চারে ৭৫ বলে স্পর্শ করেন ৫০। অধিনায়ক মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর আবার গুটিয়ে নেন নিজেকে। এক সময়ে তার রান ছিল ৯৭ বলে ৬১। শফিকুলকে টানা তিনটি চার মেরে দম দেন রানের গতিতে। অফ স্পিনার শরিফুল ইসলামকে স্লগ সুইপ করে ছক্কা মারেন ডিপ মিডউইকেট দিয়ে। বাঁহাতি পেসার শফিকুলকে লং অফ দিয়ে চার মারার পর লং অন দিয়ে ছক্কায় পৌঁছে যান নব্বইয়ের ঘরে। পরে শরিফুলকে কাট করে চার মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে ১১৩ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। এরপর অবশ্য যেতে পারেননি বেশি দূর। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি থামে ১১৫ রানে। তার ১৩২ বলের ইনিংস গড়া ১০ চার ও দুই ছক্কায়। ফরহাদের বলে লং অফে ধরা পড়েন আরিফুল হকের ব্যাটে।

অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন ৩৭ রান ৫৮ বলে। শেষের দিকে ৪৩ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন। শামিম হোসেন করেন ১৫ রান। বল হাতে রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম। ফরহাদ রেজা ও শরিফুল্লাহ দুটি করে উইকেট নেন। শফিকুল ইসলাম ও অপরাজিত একটি করে উইকেট নেন।

দিনের অপর ম্যাচে সাভারে জিতেছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। ১৪৭ রানে দলটি হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। আগে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ২৯১ রান করে রূপগঞ্জ। জবাবে ৩০ দশমিক ৪ ওভারে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ব্যাট হাতে তিনি খেলেন ১১৪ বলে ৯২ রানের দারুণ ইনিংস।