জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত গানের প্রতিযোগিতা ‘গানে মুজিব অলিম্পিয়াড’ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে চলবে ১৭ মে পর্যন্ত ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সংস্কৃতি’ সংগঠন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি ড. মকবুল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি কানিজ আকলিমা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক কেয়া হায়দার। নির্বাহী সদস্য নাজমুল আহসান ও খন্দকার আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।
ড.মকবুল হোসেন জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাঙালির দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, দেশ গঠনে তাঁর নেতৃত্ব ও '৭৫-এ নৃশংসভাবে তাঁকে হত্যার প্রতিবাদে বহু গান রচিত হয়েছে। এসব গানে তাঁর প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর নেতৃত্বের কথা, ঘাতকের হাতে তাঁর মৃত্যুর পর জাতির শোকের কথা, সুরে ও বাণীতে অনুরণিত হয়েছে।
এগুলো গান হিসেবে মানুষের মনে যেমন দাগ কাটে তেমনি ইতিহাসের ছবিও আঁকে। মহান এই নেতার কৃতিত্ব, বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদানের কথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্মরণ করা ও বহন করার জন্য এই সব গানের চর্চা ও প্রচার একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়টি সামনে রেখে জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত গানের জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা, শ্রদ্ধা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের অন্তরে প্রোথিত করা।
তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগিতা দুটি বয়স শ্রেণিতে হবে। ১২ থেকে ১৮ এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। এই দুই পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ এই আটটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা মান, উচ্চ মান ও ভালো মান এই তিন পর্যায়ে পুরস্কৃত করা হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিতরা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে জাতীয় পর্যায়ের সেরা, উচ্চ ও ভালো মান এই তিন পর্যায়ে পুরস্কৃত করা হবে।
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়ম হচ্ছে:
১. ১৭ মার্চ ২০২২, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন থেকে প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরু হবে।
২. সারা দেশ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য গান পাঠানো যাবে।
৩. নিবন্ধনের জন্য মোবাইলে গানের ভিডিও রেকর্ড করে সংস্কৃতি'র ইনবক্সে অথবা [email protected] এই ইমেইলে পাঠাতে হবে।
৪. মোবাইলে গান রেকর্ড করার সময় গান গাওয়ার আগে নিজের নাম, জেলা, কোন গ্রুপের (ক। ১২-১৮ বৎসর পর্যন্ত খ। ১৮ বৎসরের ঊর্ধে) প্রতিযোগী, কোন গান, গীতিকার ও সুরকারের নাম উল্লেখ করতে হবে।
৫. গানের সঙ্গে নাম, ঠিকানা, বয়স, ছবি, মোবাইল নম্বর আলাদা করে পাঠাতে হবে।
৬. সংস্কৃতি'র ইনবক্সে বা ইমেইলে প্রাপ্ত গান বিভাগীয় পর্যায়ে বিন্যাস করে প্রাথমিক নির্বাচন করা হবে।
৭. বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের নিয়ে বিভাগীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
৮. প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের বয়স প্রমাণের জন্য প্রতিযোগিতার সময় স্কুল সার্টিফিকেট/ইউপি চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট/এনআইডি প্রদর্শন করতে হবে।
৯. বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী ৪৮ জনকে নিয়ে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
১০. জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
১১. পুরস্কার বিতরণ শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গানের অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।
ফেসবুক প্রমোশন, ইউটিউব, সংস্কৃতি অনলাইন সাহিত্য পাতা, বিভিন্ন সংগীত সংগঠনের মাধ্যমে এর প্রচারণা চালানো হবে।