যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৬ মার্চ) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইশতিয়াক আলম ভোরের আকাশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হননি। এর মাঝে সুবহা জানতে পারেন, ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে রয়েছে এবং তার অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। আবার এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরো ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
মামলায় বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন ইলিয়াস। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন তিনি। পরদিন আবারো ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চান ইলিয়াস ।
এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে কিল-ঘুষি-লাথি ও চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে জখম করেন। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধ বলে অন্য ওষুধ খাওয়ান। একটু পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান। এদিকে সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।