logo
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৪:৫৭
স্কুল পোশাক নিয়ে স্বর্ণার বাড়িতে জেলা প্রশাসক
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

স্কুল পোশাক নিয়ে স্বর্ণার বাড়িতে জেলা প্রশাসক

স্কুল পোশাক নিয়ে স্বর্ণার বাড়িতে জেলা প্রশাসক

ইউনিফর্ম না থাকায় থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটির কয়েক ঘণ্টা পর স্কুল পোশাক ও চিকিৎসার টাকা নিয়ে স্বর্ণার বাড়িতে হাজির হন জেলা প্রশাসক।

গত সোমবার (১৪ মার্চ) দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে। পরে ওইদিন রাত ১০ টায় পৌর এলাকার রামচন্দ্রপুর গ্রামে শিক্ষার্থী স্বর্ণার বাড়িতে স্কুল পোশাক ও টাকা নিয়ে হাজির হন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী। স্বর্ণা ওই এলাকার সুপারি ব্যবসায়ী মো. শাহিনুর ইসলামের মেয়ে।

এ সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বারিউল করিম খান, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন, ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আক্তার জাহান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসেম আলী নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগামীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কাজে আমরা পুরো শিক্ষা পরিবার লজ্জিত ও মর্মাহত। এ ধরনের ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হবে। এছাড়া এ ব্যাপারে জেলার সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি বলেন, ‘ ইউনিফর্ম না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক বের করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমাকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই আমি স্বর্ণাকে নতুন পোশাক ও আর্থিক সাহায্য করেছি। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই-একদিনের মধ্যে সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুল পোশাক না পরে স্কুল যাওয়ায় থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসককে স্কুল ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।