ভোজ্যতেলের আমদানি স্তরে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আজ থেকেই ভ্যাট কমানোর এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। এই সুবিধা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে দেশজুড়ে বাজারে অস্থিরতা ও জনমনে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় উৎপাদন স্তরে ১৫ শতাংশ ও ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট এর আগেই তুলে নেয় সরকার। এরপরও ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার আমদানি স্তরেও ১০ শতাংশ কমানো হলো। ফলে ভোজ্যতেলে মোট কর কমল ৩০ শতাংশ।
নিত্যপণ্যটির ওপর এখন কার্যকর থাকছে মাত্র ৫ শতাংশ ভ্যাট।
আসন্ন রমজানে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের (সয়াবিন ও পাম অয়েল) দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম কমানোর দাবিতে সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিকদলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খানিকটা বেকায়দায় পড়ে সরকার। এ বছরের শুরু থেকেই বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভোজ্যতেল উৎপাদক মালিক সমিতির সঙ্গে প্রতি মাসে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে সেখানে নির্ধারিত দামে তেল বিক্রির আশ্বাস দিলেও বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন বাজারে ছিল না।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সাফাই গাইলেও বাজারে দেখা যায় প্রতি মাসেই তেলের বোতলে নতুন নতুন দাম নির্ধারণ করে তেল কোম্পানিগুলো। এর পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাত দিয়ে আসছে কোম্পানিগুলো যদিও এতে ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশ করা হয়। সবশেষ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও ব্যবসায়ীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে আমদানিতে সরকার নির্ধারিত ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পুরোটাই মওকুফ দাবি করে। ব্যবসায়ীদের এ দাবির দুই তৃতীয়াংশ মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দু’দিন আগে আমদানি স্তরে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
এনবিআর বলছে, ব্যাপক কর ছাড়ের ফলে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে এবং ভোক্তা সাশ্রয়ী দামে তা কিনতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বোতলজাত তেলের মূল্য এখন কত নির্ধারিত হবে তা সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্ধারিতভাবে জানানো হয়নি।