logo
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২২ ০৮:০০
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জয়ের স্মৃতিচারণ
হাসিখুশি দিনগুলো খুব নির্মমভাবে শেষ হয়ে যায়!
নিজস্ব প্রতিবেদক

হাসিখুশি দিনগুলো খুব নির্মমভাবে শেষ হয়ে যায়!

সজীব ওয়াজেদ জয়

১৭ মার্চ, ১৯২০ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগমাখা স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাঁর বড় নাতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা জয়ের মানসপটে এই দিনে নানাকে ঘিরে ভেসে ওঠা অতি শৈশবের স্মৃতি যেমন উঠে এসেছে এই লেখায় তেমনি আছে জাতির প্রতি কর্তব্য ও দায়িত্ববোধের কথাও। ভোরের আকাশের পাঠকদের জন্য জয়ের লেখাটি তুলে ধরা হলো:

‘আমার নানা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে খুব বেশি স্মৃতি আমার মনে নেই। তবে একটা মজার ঘটনা এখনো আমার মনে পড়ে। একদিন আমি অনেক জিদ ধরলাম নানার কাছে, তার পাইপে আমি একবার হলেও ফুঁ দিতে চাই। আমার নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে নানাও এক সময় বাধ্য হলেন।
এরপর যা ঘটল তার জন্য আমি আসলে ওই ছোট বয়সে প্রস্তুত ছিলাম না। ফুঁ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনবরত কাশি দিতেই থাকলাম, যেন নিঃশ্বাস নিতে গেলেই কাশি চলে আসছে। আর সেই অবস্থা দেখে নানি প্রচণ্ড রেগে গেলেন দুজনের ওপর! তিনি আরো রেগে গেলেন অন্যদিকে নানার সেই চিরাচরিত মুখভরা হাসি দেখে, সে হাসি যেন তার থামছেই না’।

নানার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জয় আরো লিখেছেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমাদের হাসিখুশি দিনগুলো খুব নির্মমভাবে শেষ হয়ে যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে। তারপর থেকেই আপনারা সবাই জানেন, আমাদের পরিবারের বেঁচে যাওয়া অল্প কয়েকজন সদস্য বিশেষ করে আমার মা, বাবা আর খালা জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন দীর্ঘ সময়।

এরপর বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমার নানা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সেই সংগ্রাম পরিচালনার দায়িত্বভার চলে আসে আমার মায়ের কাঁধে। পরিবারের সবাই আমাদের জায়গা থেকে আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাহায্য করে যাচ্ছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে।’

বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মদিনে বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য তার ভাবনাগুলোর কথাই বার বার মনে পড়ছে--একথা উল্লেখ করে জয় তার স্ট্যাটাসে আরো লিখেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবই। শুভ জন্মদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির হৃদয়ে আপনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’