সেঞ্চুরিয়নের মাঠে শেষ ফল যাই হোক না কেন প্রথম ওয়ানডেটা তুমুল উপভোগ করছেন বাংলাদেশি ভক্তরা। কারণ মাঠে ধীর লয়ে শুরু হওয়া খেলাটা এখন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। খেলার ৪০ ওভার শেষে রান উঠেছে ২১৯। কিন্তু, রানের খাতাই শুধু নয়, শরীরী ভাষাতেই আজ এগিয়ে ‘বাংলার জান’ সাকিব আল হাসান।
নানা নাটকের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন দলের পরে, তবে নেমেছেন সেই সাকিবের ভূমিকাতেই যাকে দর্শকরা দেখেন তাদের কল্পনায়।
নিরুত্তাপ হতে পারতো যে ম্যাচ তাকে এখন বারুদ ঠাসা উত্তেজনায় তুলেছেন সাকিব। একের পর এক চার-ছক্কায় সেঞ্চুরিয়ন শাসন করছেন সাকিব। সাকিব অর্ধশত পেরিয়েছেন দল ৪০ ওভার পার হওয়ার ঠিক আগে। তারপর আরো চার-ছয়ে রাঙালেন মাঠ। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি করতে পারলেন ৭৭। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে শতকের গল্পও লেখার সম্ভাবনাও ছিল, তবে এনডিগির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হলো মাঠের বাইরে।
তবে সাকিবের সেঞ্চুরিয়নে মারা ৭টা চার ও ৩টা ছক্কা খেলায় এনেছে প্রাণ, দলের বাকি খেলোয়াড়দের দিয়েছে বুস্ট-আপ।
তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন আজ ইয়াসির আলী। সাকিবের পাশে পাশে সমান তালে খেলে শত রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন। অর্ধ শতক হাঁকানোর পর রানের চাকা আরেকটু বাড়ানোর ইচ্ছা ছিল হয়ত। তবে সবতো আর হয় না, ইয়াসিরেরও হলো না। ৪৩ ওবাভে কাসিগো রাবাদার প্রথম বলটিতেই মারতে গিয়ে টাইমিং হলো না। সোজা ধরা পড়লেন ওই বোলারের হাতেই।
ঠিক ৫০ রানে তার বিদায়ের পরও এখন ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফরা।
দর্শকদের প্রত্যাশা, আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে ৩০০ রানের টার্গেট দিতে পারবে বাংলাদেশ।
বলা ভালো শুরুতে ধরে খেলে ৬৭ বলে অধিনায়ক তামিম ইকবাল করেছেন ৪১ আর অপর ওপেনার লিটন সমান বল খেলে করেছেন ঠিক ৫০ রান। সময়টা আজ ভালো যায়নি মুশফিকের। দুই ডিজিটই দেখা হয়নি। তবে ৩টা ফিফটি তার না পারাটা ঠিকই ঢেকে দিয়েছে।
রানের স্রোত চলছে। ওভারে ওভারে পাল্টাচ্ছে গল্প।
পরের আপডেট ইনিংস ব্রেকের পর।