logo
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২২ ১০:৩২
মুলার তেল!
মঈনউদ্দিন সুমন, মুন্সীগঞ্জ

মুলার তেল!

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কোটগাঁও এলাকায় মোহাম্মদ সেলিম মুলার বীজ থেকে উৎপাদন করছেন ভোজ্যতেল। ছবি- ভোরের আকাশ

দেশের বাজারে হু হু করে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ভ্যাট কমিয়েছে সরকার। মুজতদারের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে অভিযান। এর মধ্যেই আশার আলো হয়ে এসেছে মুলার তেল। শীতকালীন সবজি মুলার ফলে সয়াবিন ও সরিষার ওপর চাপ কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কোটগাঁও এলাকায় মোহাম্মদ সেলিম মুলার বীজ থেকে উৎপাদন করছেন ভোজ্যতেল। যা সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। মুলার তেল ব্যাপক হারে উৎপাদন করতে পারলে সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরশীলতা এবং আমদানি কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।

মোহাম্মদ সেলিম জানান, ছয় মাস যাবত মুলার বীজ থেকে তেল উৎপাদন করছেন তিনি। এ তেল ব্যবহার করছে রান্নার কাজে। তিন কেজি মুলার বীজ থেকে এক কেজি তেল উৎপাদন হয়। বর্তমানে এক কেজি মুলার তেল করতে তার খরচ হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ব্যাপকভাবে মুলার বীজ সংরক্ষণ করা গেলে সয়াবিনের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম হবে আশা তার।

তিনি বলেন, ‘মুলার তেল উৎপাদন খরচ এখন অনেক বেশি হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে মুলার বীজ সংরক্ষণ করে ব্যাপক হারে উৎপাদন করা হলে খরচ অনেকাংশে কমে যাবে। আমি সরিষা, বাদাম, কালিজিরা কুমড়ার বীজ থেকে তেল উৎপাদন করি এবং বিক্রি করি।’

‘আমাদের দেশে মুলার দাম অনেক কম যার জন্য এর বীজ সংরক্ষণ করলে সয়াবিনের চেয়েও কম দামে তেল উৎপাদন করা সম্ভব। আমার চিন্তা থেকে আমি ছয় মাস আগে দোকান থেকে বীজ কিনে তেল উৎপাদন করি। মুলার তেলের ঘনত্বের কারণে সয়াবিনের চেয়ে কম লাগে। আমি চায়নার তৈরি একটি মেশিন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরি করে বিক্রি করে থাকি। তেল তৈরির পর বাকি উচ্ছিষ্ট উপাদান ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি’, যোগ করেন তিনি।

সেলিমের স্ত্রী মৌসুমী দেওয়ান বলেন, ‘আমার স্বামী সর্বদা বিভিন্ন ধরনের তেল বিক্রি করে থাকেন। সবসময় তাকে সহযোগিতা করি। ছয় মাস যাবত মুলার বীজ থেকে তেল উৎপাদন করছেন তিনি। রান্নার কাজে এই তেল ব্যবহা করছি আমরা।’

মুলার তেলের গন্ধ নিয়ে এই গৃহিণী বলেন, ‘পরোটা তৈরি করতে গেলে একটু গন্ধ থাকে। তবে অন্যান্য খাবারের কোনো গন্ধ নেই। খাবার রান্না করতে গেলে সয়াবিন তেল যে পরিমাণ লাগে মুলার তেল ঘনত্ব বেশি থাকায় কম লাগে।’