logo
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২২ ১৫:৪১
শতভাগ উৎসব ভাতা দাবি
প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো বসলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো বসলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির অবস্থান। ছবি- ভোরের আকাশ

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার হিসেবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবারও (১৯ মার্চ) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে।

সংগঠনের সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন আহমদ, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন ও ড. ইদ্রিছ আলী, মো. ইউসুফ আল শামীম, আফজালুর রশিদ, যুগ্ম আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলামসহ কমিটির নেতারা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত জোট নেতারা বলেন, ১৩টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি ১৮ মার্চ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারের কাছ থেকে শতভাগ উৎসব ভাতা আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আজ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে। ১৮ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ ২৫% উৎসব ভাতা পাচ্ছেন, যা অমানবিক। মাধ্যমিক পর্যায়ের এন্ট্রি লেভেলের একজন শিক্ষক ১২৫০০ টাকা স্কেলে উৎসব ভাতা পান ৩১২৫ টাকা। মাদরাসার একজন ইবতেদায়ি লেভেলের শিক্ষক ১৩০০ টাকা ক্ষেলে উৎসব ভাতা পান ২৩২৫ টাকা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বাজারে কোনো শিক্ষক-কর্মচারির পক্ষেই এত টাকা দিয়ে স্বাচ্ছন্দপূর্ণভাবে আনন্দের সহিত ঈদ উদযাপন করা সম্ভব নয়।

কমিটির নেতারা বলেন, সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এ মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের ঘোষণা ও পরিপত্র জারি করে তাদেরকে ঘরে ফেরাতে পারেন।