ডায়াবেটিস প্রতিরোধী চা তৈরিতে সাফল্য পেয়েছেন প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের গবেষকদের তৈরি ‘এইচআরএম টি’কে স্বীকৃতি দিয়েছে ওআইসির স্ট্যান্ডিং কমিটি অন সায়েন্টেফিক অ্যান্ড টেকনোলজি কো-অপারেশন। এই গবেষণা-উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. এম হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এম হাফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসিবিএস সেন্টারে আয়োজিত চারদিনব্যাপী ‘১৫তম ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন ন্যাচারাল প্রোডাক্ট কেমেস্ট্রি’ বিষয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সম্মেলনে তিনি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে নিজের গবেষণা-প্রবন্ধ তুলে ধরেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্মেলনে অধ্যাপক হাফিজ প্রাকৃতিক পাঁচটি ভেষজ উপাদানে তৈরি এইচআরএম টি-ব্যাগের প্রাথমিক গবেষণার সাফল্য নিয়ে আলোকপাত করেন এবং এ নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের গবেষণা শুরুর বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার এ গবেষণালব্ধ সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অন্য অতিথিরা।
এই কৃতিত্বের জন্য সম্মেলন শেষে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেন কমসটেকের কো-অর্ডিনেটর জেনারেল এবং পাকিস্তানের জাতীয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী। এবারের সম্মেলনের মোট চারশ অতিথির মধ্যে ৬০জন বিদেশি অতিথি অংশ নেন। বিদেশি অতিথির মধ্যে ড. হাফিজুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ থেকে একমাত্র অংশগ্রহণকারী।
উল্লেখ্য, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল বিগত কয়েক বছর ধরে এইচআরএম টি ব্যাগ নিয়ে গবেষণা করছেন। পাঁচটি ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে এই নিরাময়ক টি-ব্যাগ প্রস্তুত করেছেন তারা। প্রাথমিকভাবে এই গবেষণায় যুক্ত দু’জনকে ছয় মাসের ফেলোশিপ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কমসটেক।
তবে এই গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম ধাপে বেশ সফল হওয়ায় এটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের অধীনে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। সেখানে সবুজ সংকেত মিললে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন প্রয়োজন পড়বে। এরপর এর সুফল পাওয়া যাবে ভোক্তা পর্যায়ে।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের গবেষণা-সাফল্যকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য আশাজাগানিয়া বলছেন।