মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের দিলকুশ ও শুকনাছড়া এলাকায় ১০০ হেক্টরের (এক কিলোমিটার) বেশি বন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলছেন, তিনি বিষয়টি এখনো জানেন না। খোঁজ নিচ্ছেন।
জানা যায়, লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনটি ৫৬৩১.৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের এ অংশে হতে যাচ্ছে দেশের তৃতীয় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার গাছের নিচের ঝরাপাতা থেকে আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান ফটক, জড়িছড়া রাস্তার প্রবেশপথ ও শুকনাছড়া এলাকার এক কিলোমিটারের বেশি এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী, বিরল প্রজাতির কীটপতঙ্গ এবং বেশ কিছু প্রজাতির বৃক্ষের ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের দাবি, ‘প্রস্তাবিত সাফারি পার্ক এলাকায় বারবার পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে। আগুন দেখার পর আমরা স্থানীয়রা নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত (রোববার) বিট কর্মকর্তাকে দেখিনি।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী ইকবাল আহমদ বলেন, ‘শুকনো ঝরা পাতা থেকে আগুন লেগেছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ লতা ও দুর্লভজাতের কীটপতঙ্গ ও সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণীর ক্ষতি হয়েছে।’
বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি বনে আগুন লাগার বিষয়টি এখনো জানি না। যেহেতু সংরক্ষিত বন এলাকায় আগুন লেগেছে, এতে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণীসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ও পাখির বাসার ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’