রাজধানীর গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লুৎফন্নাহারের পদত্যাগও দাবি করেছেন তারা। রোববার (২০ মার্চ) সকাল ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ছয় শতাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পক্ষে এই বিক্ষোভ হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা (২০২১-২০২২) সেশনের শিক্ষার্থী। আমরা এই স্কুলের শিক্ষার্থী। ক্লাশ নাইনে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সব টাকা পয়সা নিলেও আমাদের রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি। ফলে আমরা এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারব কীনা জানি না। আমাদের দশ বছরের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে। এখন কী হবে-না হবে আমরা জানি না। আমাদের ভবিষ্যৎ কী?
আসফি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অন্য স্কুলের সব বন্ধুরা পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠবে। আমাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে গেল। এগুলো ভাবলে হতাশায় ভুগি। যেকোনো মূল্যে আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হোক।
আতিয়া সুলতানা নামের এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা পয়সা নিলেও প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লুৎফন্নাহার সেগুলো আত্মসাৎ করে এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। রেজিষ্ট্রেশন না করায় এসব শিক্ষার্থীর এসএসসি'র ফর্ম ফিলাপও করা হয়নি। তাই তারা এসএসসি পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভুগছি।
লুতফুন্নাহার নামের এক অভিভাবক বলেন, এই অধ্যক্ষ এক সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন।বোর্ড থেকে আমাদের বলা হয়েছে, তার পদত্যাগ না হলে এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আমাদের দাবি প্রিন্সিপাল শামসুন্নাহার পদত্যাগ করবে এবং আমাদের সন্তানদের পরীক্ষার নিশ্চয়তা দেবে কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার সব টাকা-পয়সা নিয়ে ঢাকা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শুধু আশ্বাস দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। ১৫ মিনিট ধরে রাস্তা অবরোধ করে রাখায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, পল্টন এবং মৎস্যভবন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শামসুন্নাহারকে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।