বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। এখন থেকে ১০০ বছর পরেও বিচারপ্রার্থী জনগণ তার রায়ের 'বেনিফিট' (সুফল) পাবেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ মন্তব্য করেছেন।
রোববার (২০ মার্চ) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজা শুরুর আগে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেছেন।
রোববার সকাল দশটার দিকে সাহাবুদ্দীন আহমদের মরদেহবাহী গাড়িটি সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছে। ১০টা ২০ মিনিটে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সাহাবুদ্দীন আহমদ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তাঁর দেওয়া রায়ের মাধ্যমে। অষ্টম সংশোধনী মামলা, কখন 'স্যুট' গ্রহণযোগ্য হবে বা হবে না; এই জাতি সুনির্দিষ্টভাবে বিচারাঙ্গনের সবাই সারাজীবন মনে রাখবে। এখন থেকে ৫০ বছর, ১০০ বছর পরেও বিচারপ্রার্থী জনগণ উনার রায়ের ’বেনিফিট’ (সুফল) পাবেন।
সাহাবুদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল আহমদ বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি মনে-প্রাণে বিচারক ছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সন্তান, তার অধীনস্থ কর্মচারীদের ও সবার সঙ্গে যে ব্যবহার করতেন তাতে মনে হয়েছে মনেপ্রাণেই তিনি একজন বিচারক ছিলেন। সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার করতেন তিনি।
এদিকে, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে রোববার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ছিল।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার নিজ বাড়ী নেত্রকোনা এবং জাতীয় ঈদগাহে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে রোববার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র : বাসস