logo
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২২ ২২:৪৪
শাস্তি নিশ্চিতে ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালা শক্তিশালী নয়: রাজউক
নিজস্ব প্রতিবেদক

শাস্তি নিশ্চিতে ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালা শক্তিশালী নয়: রাজউক

রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডুরা নেতাদের বৈঠক

দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ইমারত নির্মাণের জন্য যে আইন বা বিধিমালা রয়েছে তা শক্তিশালী নয় বলে মনে করছেন রাজউকের কর্মকর্তারা।

তারা জানিয়েছেন আইন বা বিধিমালাগুলো আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।

রোববার (২০ মার্চ) ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় রাজউকের কর্মকর্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

ডুরা সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম ও হাসিব মাহমুদ শাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে জয়শ্রী ভাদুড়ী, অর্থ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদকে নিলয় মামুন, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদকে জহিরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মশিউর রহমান খান, রফিকুল ইসলাম রনি, মুসা আহমেদ, সদস্য তোফাজ্জল হোসেন কামাল, সাদ্দাম হোসেন, আবির হাকিম, ছাইফুল মাসুম, নাজমুল হাসান রাজ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডুরা সদস্যরা অভিযোগ করেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অনেক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চান না। কোনও তথ্য নিয়ে সহযোগিতা করেন না। তাছাড়া রাজউকের জনসংযোগ দফতরটিও শক্তিশালী নয়।

রাজউক চেয়ারম্যান আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, রাজউকের সেবা কীভাবে সহজ করা যায় সে জন্য আমরা কাজ করছি। আমি নিজে সব ফোনকল রিসিভ করি। আমি সব সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলি। গণমাধ্যমকর্মীদেরকে তথ্য ও বক্তব্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রত্যেক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনসংযোগ দফতরকেও শক্তিশালী করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিদিন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করি। কিন্তু রাজউকের এই ভালো কাজগুলোর প্রচারণা নেই। ডেঙ্গু নিয়ে এমন কোনও দিন যাইনি আমরা কাজ করিনি। অনেক অনেক লোক বিল্ডিং পরিষ্কার করেছে। মাসে ১০০টি বাড়ি ভাঙা হয়। গত মাসে ৮৭টি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। আমরা সব তথ্য সেবা অনলাইনে দিচ্ছি। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম পুরান ঢাকার পুনঃউন্নয়ন নিয়ে বলেন, ঢাকা শহরে পার্কের পরিমাণ এক শতাংশের কম। এটা খুবই লজ্জাজনক। সেটি বাড়ানোর জন্য আমরা রিভাইস ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করেছি। ২০১৪ সাল থেকে আমি পুরান ঢাকা নিয়ে কিছু গবেষণা করছি। আমরা এরই মধ্যে গবেষণার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গেছি। আর এরইমধ্যে আমরা বৈদেশিক সহায্য প্রকল্পের সহায়তায় আরবান রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্প গ্রহণ করেছি। আমরা অতি দ্রুত ডোন চুক্তি সই করবো। সার্ভে করার জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দও পাচ্ছি।

তিনি বলেন, পুরান ঢাকার পুনঃ উন্নয়নের জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে ৭টি এলাকাকে নির্ধারণ করেছি। পুরান ঢাকার পুনঃউন্নয়ন রাজউকের একটি স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো।

সভায় রাজউক পরিচালক উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১ মো. মোবারক হোসেন বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য রাজউক শুধু একা দায়ী নয়, অন্যন্য সেবা সংস্থাগুলোরও দায় রয়েছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এফআর টাওয়ারে আগুন লেগেছে। কিন্তু এজন্য সবাই রাজউককে দায়ী করছে। অথচ আগুনের সূত্রপাত কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে হয়েছে। এর দায়িত্ব কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের। সিটি করপোরেশন যে কোনও প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে। অথচ তারা যেখানে এই লাইসেন্স দিচ্ছে সেই ভবন বা ফ্ল্যাটটি বৈধ কিনা তা দেখছে না।

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী রায়হান ফেরদৌস বলেন, হাতিরঝিল নিয়ে অনেকের শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা দূর হয়েছে। সেনাবাহিনী থেকে প্রকল্প বুঝে নেওয়ার পর তাদের চেয়েও কোনও অংশে আমরা কম ব্যবস্থাপনা করছি না।’ রাজউক আইনে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার একটা বিধান রয়েছে। কিন্তু সেটি কার্যকর করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজউকের উত্তরা প্রকল্পে এটা করা হয়েছে। অন্যান্য নকশায়ও এটা যুক্ত করা হচ্ছে।