কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসন্তী গ্রামের আবাসনে তীব্র পানি সংকটে ভুগছে ১৫টি পরিবার। পানি সংকটের পাশাপাশি চলাচলের রাস্তারও সমস্যায় আছেন তারা। পরিবারগুলোর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না; বরং সরকারি ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন তাদের অনেকেই।
সম্প্রতি সরেজমিনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই আবাসনটি ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে বাঁধের পাড়ে সরকারিভাবে ১৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘরে তাদের বসবাসের কথা থাকলেও দিনের বেলা বসবাস করছেন মাত্র দুইটি পরিবার। বাকি ঘরগুলোতে ঝুলছে তালা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বাকি ঘরগুলোর পরিবার আগের বাসায় ফিরে গেছেন।
বসবাসরত পরিবারগুলোর দাবি, আবাসনে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ১৫টি পরিবারের জন্য একটিও টিউবওয়েল বসানো হয়নি। চলাচলের রাস্তা নিয়েও বিপাকে আছেন তারা। অন্যের বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। নিজেরা মিলে বস্তা,বালু ফেলে ফসলি জমির পাশ দিয়ে সরু রাস্তা তৈরি করলেও সেটিও কাজে আসছে না।
আবাসনে বসবাসরত আমিরন বেগম বলেন, ‘মানুষের বাসা থেকে কষ্ট করে খাবার পানি আনা লাগে। গোসল করতে হয় অন্যের পুকুরে। এখানে একটি টিউবওয়েল হলে খুব উপকার হয়।’
আরেক বাসিন্দা হরিশচন্দ্র বলেন, ‘পানি আর রাস্তার সমস্যার জন্য বাকি পরিবারগুলো আগের বাড়িতে চলে গেছে। কেউ কেউ মন চাইলে রাতে এসে থাকে। দিনে চলে যায়। আমাদের পানি বাইরে থেকে আনতে হয়। হাঁটার রাস্তাও নাই। টিএনও অফিসে জানাইছি, কোনো কাজ হয়নি।’
আবাসনের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমার বাসা থেকে পরিবার দুটো পানি নিয়ে যায়। ১টা টিউবওয়েলও বসায় নাই। হাঁটার রাস্তাও নাই তাদের।’
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘আবাসনে পানির সমস্যার বিষয়টি সমাধান করার জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের সেখানে টিউবওয়েল বসানোর কথা। টিউবওয়েল বসানো হয়েছে কিনা,বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’