ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে সাইফুল ইসলাম নামে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সোমবার ৫ গ্রাম হেরোইনসহ সাইফুল ইসলাম নামে ওই আসামিকে কদমতলী থানাধীন তুষারধারা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কদমতলী থানা পুলিশ সাইফুলকে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে দুপুর সোয়া ১ টা থেকে ২ টার মধ্যে পালিয়ে যায় ওই আসামি।

এই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) কোতোয়ালি থানার মামলার এজাহারটি আদালতে আসে। এরপর ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকের আদালত এজাহার গ্রহণ করে কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক কিরন মিয়াকে মামলা তদন্ত করে আগামী ৯ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপপরিদর্শক এসএম জহিরুল আলম বলেন, সাইফুল ইসলামকে হেরোইনসহ আমরা গ্রেপ্তার করি। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। কোর্টের হাজতখানা থেকে আসামি পালিয়েছে।

এদিকে, সিএমএম আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর নাহিদ হাসান বলেন, আমরা আসামি পাইনি। থানা থেকেই আসামি পালিয়েছে। আমাদের কাছে আসেনি। এর বাহিরে আমরা কিছু বলতে পারব না।

তবে কদমতলী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে জানা গেছে, আসামিকে হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। ফিঙ্গার প্রিন্টও নেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, আসামি নেই।

এ ঘটনায় কদমতলী থানার এএসআই শেখ জাহিদুর রহমান কোতোয়ালী থানায় পেনাল কোডের ২২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাইফুলসহ থানার অন্য আসামিদের হাতকড়া পরিয়ে সরকারি প্রিজনভ্যানে করে দুপুর সোয়া একটার দিকে সিএমএম কোর্টের হাজতখানায় আনা হয়। সেখানে কর্মরত পুলিশ আসামিদের হাতকড়া খুলে ফিঙ্গার প্রিন্টসহ ছবি তোলে।

পরে আসামিদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ২য় তলার হাজতখানার সামনের করিডোরে রাখা হয়। সেখানে থাকা অন্যান্য থানার আসামিদের সাথে সাইফুল মিশে যায়। কদমতলী থানার আসামিদের জমা দেওয়ার সময় সাইফুলকে না পেয়ে হাজতখানার কর্তব্যরত অফিসার আসামিকে খুঁজেও সন্ধান পাননি।