ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাশিয়া। এমন কি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচও তারা খেলতে পারছে না। কবে ক্রীড়াঙ্গনে তারা ফিরতে পারবে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। অথচ ২০২৮ বা ২০৩২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে তারা। রাশিয়ার ফুটবল ইউনিয়নের (আরএফইউ) নির্বাহী কমিটি বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
আরএফইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরএফইউ বোর্ড সদস্য সের্গেই আরোখিন বলেন, ‘আমরা ২০২৮ ও ২০৩২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হওয়ার জন্য আবেদন করতে যাচ্ছি।’
উয়েফা বুধবার রাশিয়ার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাশিয়ার পাশাপাশি তুরস্কও ২০২৮ ও ২০৩২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হওয়ার আবেদন করেছে।
এদিকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং বডি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার বিষয়ে রাশিয়াকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
ইএসপিএনকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিফা ও উয়েফা নির্বাহী কমিনিট গত ২৮ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্তে জানিয়েছে, রাশিয়াকে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ফিফা ও উয়েফা আয়োজিত সব ধরণের ক্লাব ও জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ওাশিয়া ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ সফলভাবে শেষ করেছে। দেশটির লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। গত সপ্তায় এ স্টেডিয়ামে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সমর্থনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজক হওয়ার আবেদন সম্পর্কে রাশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আজ ঘোষণাপত্র পাঠিয়েছি। বিশাল এ মহাযজ্ঞ আয়োজনের জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের অভিজ্ঞতাও রয়েছে।’
ওাশিয়া হয়তো পেল্যান্ড, সুইডেন ও চেক প্রজাতন্ত্রের কাছ থেকে বড় ধরণের বাধা পেতে পারে। কেননা রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলা খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এমনকি নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও তারা খেলতে চায় না।
উল্লেখ্য, আয়োজক হওয়ার জন্য উয়েফা আগামী সপ্তায় প্রয়োজনীয় তথ্য ইচ্ছুক দেশগুলোকে জানিয়ে দেবে। আগামী ৫ এপ্রিল আয়োজক হতে ইচ্ছুক দেশগুলোকে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।