logo
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২২ ১২:১৪
কিয়েভে গোলাবর্ষণে রুশ নারী সাংবাদিক নিহত

কিয়েভে গোলাবর্ষণে রুশ নারী সাংবাদিক নিহত

রুশ সাংবাদিক ওকসানা বাউলিনা ছবি: টুইটার

রাশিয়ার একটি স্বতন্ত্র সংবাদমাধ্যমের নারী সাংবাদিক ওকসানা বাউলিনা গোলার আঘাতে নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গোলাবর্ষণে এই রুশ নারী সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। রুশ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ধারণ করার সময় গোলার আঘাতে নিহত হন তিনি। খবর আল-জাজিরার।

নিহত সাংবাদিক ওকসানা দ্য ইনসাইডার-এ কাজ করতেন। ইনসাইডার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওকসানা কিয়েভে গোলাবর্ষণের মধ্যে পড়ে নিহত হন। তারা আরো জানায়, রাজধানীর পোদিল জেলায় রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ধারণের সময় তিনি নিহত হন।

প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এক টুইটে বলেছে, ইউক্রেনের কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুশ সাংবাদিক ওকসানা বাউলিনা নিহত হয়েছেন। তিনি রাশিয়ার অনুসন্ধানী একটি সাইটের সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকেরা অবশ্যই যুদ্ধের লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয়।

বিবিসি জানায়, ম্যাগাজিনের সাবেক এই সাংবাদিক পরে বিরোধী কর্মী হিসেবেও কাজ করেন। রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির সঙ্গে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে কয়েক বছর কাজ করার পর ওকসানাকে রাশিয়া ছাড়তে হয়।

সহকর্মী রুশ সাংবাদিক অ্যালেক্সি কোভালিয়ভ এক টুইটে ওকসানাকে নৈতিক স্বচ্ছতার অসাধারণ অনুভূতিসম্পন্ন একজন ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। কোভালিয়ভ নিজেও সম্প্রতি রাশিয়া ছাড়েন।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংগঠন প্রেস এমব্লাম ক্যাম্পেইন (পিইসি) গত শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ছয় সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, আহত হন আরো আটজন। সংগঠনটি জানায়, কেবল কিয়েভের নিকটবর্তী ইরপিন শহরে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের সময় তিন সাংবাদিক নিহত হন।
কয়েক দিন আগে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের ক্যামেরাম্যান পিয়েরে জাকর্জেভস্কি নিহত হন বলে জানায় বিবিসি। এর আগে ইরপিনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ব্রেন্ট রেনড (৫২) নিহত হন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বরাত দিয়ে পিইসি জানিয়েছে, বর্তমানে তিন হাজার বিদেশি সাংবাদিক ইউক্রেনে কাজ করছেন। সাধারণত তাদের অনেকেই এ ধরনের সহিংস পরিস্থিতিতে কাজ করতে প্রস্তুত নন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তর—তিন দিক থেকে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রুশ বাহিনী। রাজধানী কিয়েভের তিন দিক ঘিরে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধ ও পাল্টা হামলার কারণে সামনে এগোতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।