logo
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২২ ১৮:২০
স্কুলে যাওয়া হলো না ছোট্ট আয়েশার
মাদারীপুর প্রতিনিধি

স্কুলে যাওয়া হলো না ছোট্ট আয়েশার

প্রতীকী ছবি

বাবা ও চার বছর বয়সী ভাইয়ের সঙ্গে ভ্যানে করে স্কুলে যাচ্ছিলেন আয়েশা খাতুন (৯)। তবে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের চাপায় স্কুলে আর যাওয়া হল না এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীর।

মাইক্রোবাস চাপায় নিহত হন আয়েশা। এতে আহত হয়েছে তার বাবা ও ভাই। মাদারীপুরের পৌরসভার পানিছত্র চৌরাস্তা এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আয়েশা সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বর মেয়ে। সে স্থানীয় জাগরণী ফাউন্ডেশন থেকে পরিচালিত স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিজ বাড়ি মহিষেরচর থেকে ছোইভাই রাফফান ও বাবা জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের সঙ্গে ভ্যানে করে স্কুলে যাচ্ছিল আয়েশা। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মাদারীপুর শহরগামী একটি মাইক্রোবাস পেছন থেকে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। ভ্যানটি উল্টে আয়েশা, ভ্যানচালক বাবা জাহাঙ্গীর ও ছোট ভাই রাফফান গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আয়েশা। অবস্থার অবনতি হলে রাফফানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিছু সময় পর আয়েশা মারা যায়। এ ছাড়া তার ভাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’