logo
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২২ ০৯:১৮
বিশ্বকাপ বাছাই
মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপে থাকছে না ইতালি
ক্রীড়া ডেস্ক

মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপে থাকছে না ইতালি

ফুটবল বিশ্ব বৃহস্পতিবার রাতে বড় এক অঘটনের স্বাক্ষী হয়ে রইলো। এদিন রাতে চূড়ান্ত হয়ে গেলো এবারের বিশ্বকাপে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালিদের ভাগ্য। আগের আসরের মতো এবারো ইতালি বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না। বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে বিশ্বকাপের প্লে অফের সেমিফাইনালে নিজেদের মাঠে হেরে গেছে তারা। এই হার ইতালিকে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে দেয়নি। অন্যদিকে জয়ের ফলে মেসিডোনিয়া প্লে অফের ফাইনালে পৌঁছেছে। বিশ্বকাপের টিকেট পেতে এখন তারা আগামী মঙ্গলবার পর্তুগালের মুখোমুখি হবে।

ফুটবল র‌্যাংকিংয়ে ইতালি থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও মাঠে দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে মেসিডোনিয়া। ইতালির আক্রমণগুলো তারা চমৎকারভাবে রুখে দিয়েছে। প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলো সাফল্যের সঙ্গে সামাল দেওয়ার পর খেলার একেবারে অন্তিম মুহুর্তে আসল কাজটি করেন আলেক্সান্দার ত্রাজকোভস্কি। ইতালি যখন ট্রাইব্রেকারের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিলো তখনই পালেরমোর সাবেক এ স্ট্রাইকার গোল করে একদিকে যেমন নিজ দেশকে আনন্দে ভাসিয়ে দেন। অন্যদিকে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হতাশায় ডুবিয়ে দেন। তার এ গোলের সঙ্গে সঙ্গে মেসিডোনিয়ার সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠে। আর ইতালিয়ানরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। খেলোয়াড়দের অনেকেই মাটিতে শুয়ে পড়ে। আর সমর্থকরা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ নিয়ে ইতালি টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হলো। আর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের মাঠে ৬০ ম্যাচে প্রথমবারের মতো হারলো।

মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ইতালির বিদায় মোটেও মানানসই নয়। তারা মেসিডোনিয়ার পোস্ট লক্ষ্য করে কমপক্ষে ৩২টি শট নিয়েছেন। কিন্তু একবারো মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষককে পরাভূত করতে পারেনি। এর মধ্যে সহজ সুযোগও তারা পেয়েছিল। কিন্তু সে সব সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি।

স্বাভাবিকভাবেই এ হার ইতালিদের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হলো। মিডফিল্ডার জর্জিনহো এ ঘটনা চরম হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছেন। রাই স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এটা বিশাল হতাশাজনক বিষয়। এটা হৃদয় বিদারক ঘটনা। আমারা গোলের সুযোগ তৈরি করেছি, ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেছি কিন্তু আমরা দল হিসেবে খেলা শেষ করতে পারিনি। এর জন্য এককভাবে কেউ দায়ী নয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি জানি না, কেন এমনটা ঘটলো। আমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। স্বাভাবিকভাবে অন্যদের মতো আমি মর্মাহত।’

এ ব্যর্থতার জন্য নিজেকে হয়তো কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবেন না জর্জিনহো। কেননা তার ব্যর্থতায় ইতালিকে এমন কঠিন পথে ঠেলে দিয়েছিল। নিয়মিত বাছাই পর্বের খেলায় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেই ইতালি সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট পেয়ে যেতো। কিন্তু সে ম্যাচে জর্জিনহো পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তার ওই ব্যর্থতা ইতালিকে প্লে অফে ঠেলে দেয়। তারপরই তো এই বিদায়ের ঘটনা।