কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় কয়েল থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গরুসহ ছয়টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।

উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামের কৃষক নুর মিয়ার বাড়িতে গতকাল শুক্রবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গোয়ালঘরে কয়েল লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরে নুর মিয়ার পরিবার। শুক্রবার ভোরে গোয়ালঘরে আগুনের আলো দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করে পরিবারের লোকজন। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নেভাতে শুরু করে।

এ সময় আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে পাশাপাশি থাকা টিনশেডের আধাপাকা ছয়টি বসতঘর, একটি খড়ের পুঞ্জ, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪০-৪৫ মণ ধান, ২০-২৫টি হাঁস-মুরগি এবং একটি ষাঁড় গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্মরণ নামের স্থানীয় একজন বলেন, ‘ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনতে পেয়ে নুর মিয়ার বাড়িতে যাই। সেখানে ভয়াবহ আগুন দেখতে পাই। নুর মিয়ার বাড়ির সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন বলেন, ‘নুর মিয়া একজন কৃষক। কয়েল থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে একটি ষাঁড় গরু, ছয়টি ঘরসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে তার ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ বলেন, ‘এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কয়েল থেকে থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি জানিয়েছে।’