রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় বেশ কিছু আলামত ও তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। শুক্রবার (২৫ মার্চ ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় গুলি ছুড়ে জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দ্রুত সময়ে হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ওই ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম টিপু ছাড়াও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালকও।
জানা গেছে, জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (মতিঝিল এলাকা)।
পুলিশ বলছে, জাহিদুল ইসলাম যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হন।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জাহিদুলের বাসা খিলগাঁওয়ের বাগিচা এলাকায়। মতিঝিল এলাকার আধিপত্য বিস্তার এবং ফুটপাতে দোকান বসিয়ে বাণিজ্য করা নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে।
জাহিদুলকে খুন করার পেছনে দলীয় বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব নাকি অন্য কোনো বিষয় কাজ করেছে, সে সম্পর্কে পুলিশ তাৎক্ষণিক কিছু বলতে পারেনি। তবে ঘটনাটি পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।