logo
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২২ ২১:৫৬
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে ব্ল্যাকআউট
নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে ব্ল্যাকআউট

রাজশাহী নগরী

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জাতীয় গণহত্যা দিবস স্মরণে রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রামে ১ মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে ভোরের আকাশ প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি জানা গেছে।

রাজশাহীর জরুরি সেবা স্থাপনা ব্যতীত অন্যান্য সরকারি ভবনে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়। এতে অংশ নেন- সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকসহ রাজশাহীর সকল স্তরের মানুষ। রাত ৯টার পর অন্ধকার হয়ে যায় রাজশাহী নগরী। এক মিনিট শেষ হলে ফিরে আসে আলো।

রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শরিফুল হক জানান, রেডিও, টেলিভিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, হাসপাতালসহ জরুরি স্থাপনা ব্যতীত অন্যান্য সরকারি ভবনে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়। ২৫ মার্চের ভয়াবহ দিনটি ইতিহাসের পাতায় রয়েছে। গণহত্যা দিবসের বিষয়টি নিয়েই এই ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়।

রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সিলেটে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাত ৯টা বাজতেই সিলেট জুড়ে এক অদ্ভুত আঁধার নেমে আসে। নিভে যায় প্রদীপ। সাধারণ মানুষও বাসা-বাড়িতে নিজ নিজ বাতি নিভিয়ে ভয়াল রাতের স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনেন ক্ষণিকের জন্য।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে ১ মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে এই ব্ল্যাকআউটের আয়োজন করা হয়।

ময়মনসিংহেও এক মিনিট ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়। দিবসটিকে ঘিরে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল কালো অধ্যায়। এজন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়।

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। তাই পুরো চট্টগ্রাম ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই রাতে যেকোনো ধরনের আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

একইভাবে বরিশালসহ আরো অনেক জেলায় এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়।