ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তার নাম সিদ্দিকুর রহমান রিজন (২৮)। শুক্রবার সকালে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সন্ধ্যার পর তিনি আত্মহত্যা করেন।
পুলিশের দাবি, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অথবা মনে কষ্ট পেয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঘটনাটির বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের আধাপাখিয়া গ্রামে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রিজন ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিষয়টি ভোরের আকাশকে নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁদ মিয়া।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রিজন বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। কারো সঙ্গে খুব একটা কথা বলতেন না। সন্ধ্যায় পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন রিজনের পড়ার ঘরের জানালা দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
এর আগে সকালে রিজনের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সে স্ট্যাটাসে তার হতাশার কথা আছে। পুলিশের ধারণা, তার আত্মহত্যার মূলে রয়েছে হতাশা। তবে প্রকৃত কারণ তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
রিজন তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখে গেছেন, ‘হয়তো বা তোমার ব্যর্থতার মাঝে, লুকিয়ে আছে সাফল্যের বীজ। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করো, একদিন তুমি পারবে জয় করতে। আজ যারা তোমাকে নিয়ে নিন্দা করছে, দেখবে তারাই তোমার সাফল্য দেখে কাল হাততালি দেবে।’
আপাতদৃষ্টিতে এই স্ট্যাটাসটি নিজেকে উদ্দীপ্ত করার মতো মনে হলেও এর পেছনে হতাশা আছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অথবা মনে কষ্ট পেয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ঘটনার তদন্ত চলছে।