প্রায় ১৮ বছর পর অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায়ের তারিখ আগামি ১৩ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (২৭ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুনের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এ তথ্য ভোরের আকাশকে জানান।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে মর্মে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড আশা করছে। অপরদিকে আসামিপক্ষ বলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তারা খালাস পাবেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশের বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন ড. হুমায়ুন আজাদ। হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০০৪ সালের আগস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। ওই বছরের ১২ আগস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার পরের দিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরে আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটি তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।
আসামিদের মধ্যে মিনহাজ এবং আনোয়ার কারাগারে আছে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। হাফিজ মারা গেছে।