logo
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৮:৫২
গণটিকার তদারকিতে না থেকে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসক!
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

গণটিকার তদারকিতে না থেকে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসক!

স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী গণটিকাদান কাজে তদারকি না করে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারের কাজ করেছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবুল আলম। সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ওই চিকৎসককে কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, সারা দেশব্যাপী বিশেষ টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয় সকাল থেকেই। সেই কাজের তদারকিতে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবুল আলমকে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে তাকে সকালে ইউনিয়নে যেতে নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

কিন্তু সেসময় সেখানে না গিয়ে উপজেলা শহরের খন্দকার প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করতে যান তিনি। সেসময় স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে ডা. মাহাবুবুলকে সিজাররত অবস্থায় পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে ডা. মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সিজার করতে যাইনি। সিভিল সার্জন বা কে কী বলেছে সেটা তাদের ব্যাপার।’

তবে খন্দকার প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন বলেন, ‘ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে টিকাদানের কাজ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ডা. মাহাবুবুল আলমের ওপর। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে অভিযোগ আসে তিনি ইউনিয়নে যায়নি। শৈলকুপা শহরের বেসরকারি হাসপাতাল খন্দকার ক্লিনিকে সিজার করছিলেন তিনি।’

বিষয়টি শুনে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখা যায়, মাহাবুবুল আলম সিজার করছেন। অফিস টাইমে এমনটি তিনি কেন করেছেন এর জবাব দিতে হবে বলে জানান তিনি।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি ডিউটি ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করবে, এটা হতে পারে না।’

সিভিল সার্জন আরো বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি ফোনে জানিয়েছে। আমি শোকজ করতে তাকে নির্দেশনা দিয়েছি। এই চিঠি আমার কাছে আসলে সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা নিতে।’