logo
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২২ ২১:২৩
'নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি কোলন ক্যান্সারে ভোগেন'
নিজস্ব প্রতিবেদক

'নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি কোলন ক্যান্সারে ভোগেন'

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'কোলন ক্যান্সার সচেতনতা মাস-(মার্চ) ২০২২' উপলক্ষে আলোচনা সভা

পুরুষদের প্রতি ২১ জনে ১ জন ও নারীদের মধ্যে প্রতি ২৩ জনে ১ জন কোলন ক্যান্সারে ভোগেন। পুরুষদের দ্বিতীয় ও নারীদের মধ্যে তৃতীয় মৃত্যুর কারণ অন্ত্রনালির ক্যান্সার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'কোলন ক্যান্সার সচেতনতা মাস-(মার্চ) ২০২২' উপলক্ষে আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পায়ুপথ বা অন্ত্রনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ হলো পাতলা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মল ত্যাগের পরে পেট খালি না হওয়া ভাব, রক্তসহ মল বা গাড় লাল বা কালো রঙের মল, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পরা, পেট ফাঁপা বা ব্যাথা, কিছু না খাওয়ার পরও পেট ভরা ভরা লাগা, দুর্বলতা ও অবসাদগ্রস্ত ভাব, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, পেটে মাংসপিন্ড আকৃতির অনুভব, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফুসফুসের ক্যান্সারের পরে অন্ত্রনালীর ক্যান্সার সারা বিশ্বে পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে আছে। অন্ত্রনালীর ক্যান্সারের জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী।

কোলন ক্যান্সারের 'রিস্ক ফ্যাক্টর' বা ঝুঁকি সমূহ হলো-বৃদ্ধ বয়স, উচ্চ মাত্রার প্রাণীজ প্রোটিন, চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ, অল্প আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ, মদ্যপান, পূর্বে স্তন, ডিম্বাশয় বা জরায়ুর ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে, বংশগত কারো অন্ত্রনালীর ক্যান্সার থাকলে, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রন্স ডিজিজ বা আই বি ডি (অন্ত্রনালীর ঘা জাতীয় সমস্যা), স্থুলতা, ধূমপান, কায়িক পরিশ্রম না করা, কারো যদি খাদ্যান্ত্রে পূর্ব থেকে পলিপ বা ছোট মাংসপিন্ড থেকে থাকে, তা ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, শাকসবজি খাওয়া এবং ফাস্টফুড ও এ্যালকোহল জাতীয় খাবার না খাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহাদত হোসেন শেখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।