স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে আয়োজন করা হয়েছে ঘুড়ি উৎসব। সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ এলাকায় পদ্মাপাড়ে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেন সাংসদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ছোট–বড় বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
৫০টি যুব সংগঠন একত্রে এ আয়োজন করে। উৎসবের জন্য তারা নানা রঙের ও রকমের ৩০০টি ঘুড়ি আনেন।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি নিজেই ঘুড়ি ওড়ান কিছুক্ষণ। ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, ফানুস ওড়ানো, আতশবাজি পোড়ানো এবং কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় ৫০টি ফানুস ওড়ানো হয় আকাশে। আতশবাজিও পোড়ানো হয় ৫০টি।
আয়োজকেরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেন। সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা পেয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, শহীদ মামুন মাহমুদ (মরণোত্তর), নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, নিক্সন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানুল ইসলাম তারেক, ফ্লিট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এবং নারী উদ্যোক্ত নিলুফা ইয়াসমিন।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই ১২ জনের সমাজে অবদানের বিষয়টি গম্ভীরার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।