বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসালেন বিশ্বনেতারা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্বের শীর্ষনেতারা তাদের পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় দেশের চলমান উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যাতে করে উভয় দেশই এক সঙ্গে উন্নতি করতে পারে। বাংলাদেশের এই উদযাপনের (স্বাধীনতা দিবস) জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে ৫১তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই আমি।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আমাদের উভয় দেশই স্বাধীনতার জন্য তীব্র সংগ্রাম করেছে। আমরা উভয়েই আমাদের প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি। পাঁচ দশক ধরে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতা আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ এবং আরো সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করছে। আমরা বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক সাফল্য এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে বিশ্বকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রুতিকে সাধুবাদ জানাই।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এগিয়ে যাচ্ছে ‘সোনার বাংলা’। বাংলাদেশের অর্জন চীনের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। বাংলাদেশ ও চীন ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, বাংলাদেশ সরকার কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীনের পক্ষ থেকে একটি বড় ভাণ্ডার স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ফল অর্জনের জন্য চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে উন্নীত করে। উভয় দেশের নেতাদের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে আমি কাজ করে যাব।
বাংলাদেশের অর্জন দেখে চীন আনন্দিত বলে মন্তব্য করেছেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তিশালী গতি বজায় রেখেছে। এর ফলে জনগণের জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। চীন বাংলাদেশের অর্জন দেখে আনন্দিত।
রাশিয়ার প্র্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহ্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে- যা নিঃসন্দেহে উভয় দেশের জনগণের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও স্বার্থ পূরণ করবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। পুতিন বলেছেন, যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উভয় দেশের সরকার রাজনৈতিক, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, মানবিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
শুভেচ্ছা বার্তায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ভালো প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক সামনের বছরগুলোতে আরো শক্তিশালী হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
বিশ্বনেতাদের পাঠানো এসব শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির বিষয় ব্যাপকভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। এ সংবাদ আনন্দের। এ প্রশংসা গর্বের, গৌরবের। বিশ্বনেতাদের এ স্তুতিবাদ নেতৃত্বদানে ও দেশ পরিচালনায় সরকারের মধ্যে গতির সঞ্চার করবে।
“বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আমাদের উভয় দেশই স্বাধীনতার জন্য তীব্র সংগ্রাম করেছে। আমরা উভয়েই আমাদের প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি। আমরা বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক সাফল্য এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে বিশ্বকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রুতিকে সাধুবাদ জানাই”