ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর রেবা খাতুন (১২) নামে এক ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দোষীদের শাস্তি চেয়ে তদন্ত টিমের সামনে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ জানতে সিভিল সার্জনের তদন্ত টিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও পুষ্টি বিশেষজ্ঞের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
জানা যায়, সকালে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে আসার পর বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও তদন্ত টিম শিক্ষকদের সমন্বয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
এ বিষয়ে তদন্ত টিমের কোনো সদস্য কথা বলতে রাজি হননি। তবে ঘটনাস্থলে থাকা ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় একটু উত্তেজিত হয়েছিল। তবে তাদেরকে শান্ত করে ঘটনার সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলে তারা বাড়ি ফিরে যায়। এছাড়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি বাথরুমে যায় এবং বের হয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট পর রেবা খাতুন মারা যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই চূড়ান্তভাবে জানা যাবে কেন ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টই অনেক কিছু বলে দেবে।’
গত সোমবার সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে স্কুলে থেকে দেওয়া আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রেবা খাতুন মারা যায়।