বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে- এই প্রবাদবাক্য আবারো প্রমাণিত হলো। সাড়ে ৪৪ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে সহপাঠীর হাতে খুন হওয়া ভূতত্ত্ব বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র বীরেন্দ্র কুমার সরকার হত্যা মামলার বিচার হয়নি আজও।
মামলাটিতে ১৯৮৮ সালে অভিযোগ গঠন করা হলেও গত ৩৪ বছরে রাষ্ট্রপক্ষের আটজন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা গেছে। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, গত ৪৪ বছরে এই মামলায় বিচারপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন ৩৪ জন বিচারক। তারপরও নিম্ন আদালতেই মামলাটির বিচার সম্পন্ন হয়নি। মামলার বাদী ও আসামি উভয়েই দেশ ছেড়েছেন বহু বছর আগেই। তারা আদৌ বেঁচে আছেন কী না সে তথ্যও নেই কারো কাছে। এ অবস্থায় মামলাটি নিষ্পত্তি হতে আর কত বছর লাগবে তা কারো জানা নেই। শুধুই আদালত বা রাষ্ট্রপক্ষই নয়, মামলাটির কথা ভুলে গেছে ঢাবি প্রশাসনও।
এত দিনেও মামলাটিতে বিচার সম্পন্ন না হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা পরস্পরের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা মামলার বিচারের হাল নিয়ে দায় চাপিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের ওপর। তারা বলেন, পুলিশ আন্তরিক হলে সাক্ষী আনা যেত। আর সাক্ষী আনা না গেলেও তার কারণ জানা যেত। ফলে বিচারহীনভাবে এত দিন মামলাটি পড়ে থাকত না। তবে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ মানতে নারাজ দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা এজন্য রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন।
আর ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞরা হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, এভাবে যুগের পর যুগ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(এইচ) ও ৩৩৯(সি) এবং সাক্ষ্য আইনের ১৩৪ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এভাবে যদি চলে তবে বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তারা বলছেন, এই বিচারহীনতার জন্য আদালত, রাষ্ট্রপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই সমভাবে দায়ী। তারা বলছেন, ফৌজদারি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে এমন ঘটনা ঘটবে না।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ভোরের আকাশকে বলেন, ঠিক কী কারণে এই মামলাটা এতদিন পড়ে আছে তা জানি না। তবে যা শুনলাম তা যদি সত্য হয়, তবে এই মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, কী কারণে এত দিন পড়ে আছে তা খুঁজে দেখতে হবে। কারণ বের করে প্রতিকারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী ভোরের আকাশকে বলেন, এত বছরেও মামলাটির বিচার নিষ্পত্তি না হওয়ার খবর খুবই হতাশাব্যঞ্জক। এই দীর্ঘসূত্রতা আইনের বরখেলাপও বটে। তিনি বলেন, আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলার বিচার সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, কোর্টের উচিত ছিল রাষ্ট্রপক্ষকে (প্রসিকিউশন) শেষবারের মতো সময় দিয়ে যতজন সাক্ষী হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই মামলাটির নিষ্পত্তি করা। কিন্তু তা করেনি। এটা আদালতের দায়। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ফেলে না রেখে এ জাতীয় মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করাই আদালতের দায়িত্ব।
আরেক ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৩৯(সি) ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আদালতকে মামলা গ্রহণের পর থেকে ৩৬০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে এর সুবিধা পাবে আসামিপক্ষ। আদালত আসামিকে জামিন দিতে পারবে। আর ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(এইচ) ধারা অনুযায়ী যতটুকু সাক্ষ্য হয়েছে সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামিকে সাজা দেওয়ার মতো না হলে আসামিকে খালাস দিতে হবে। অর্থাৎ মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হবে। আর সাক্ষ্য আইনের ১৩৪ ধারা অনুযায়ী আদালত যদি মনে করেন যে আসামিকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যই যথেষ্ট। তাহলে আদালত আর অপেক্ষা না করে সাজা দিতে পারবে। তিনি বলেন, আইনে আদালতকে এত সুযোগ দেওয়ার পরও ৪৪ বছরেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া দুঃখজনক। এটা আদালতের অবহেলা। আইনের অপব্যবহার করেছেন আদালত। এর দায় বিচারিক আদালতের।
আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বলেন, পুলিশ আন্তরিক হলে সাক্ষী আদালতে আনা তেমন কোনো ঘটনা নয়। এ মামলাটির বিচারের এ কাহিনি বিচারাঙ্গণের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু মামলাটির বিচার নিয়ে ভোরের আকাশকে বলেন, আমি দায়িত্বে অবহেলা করি না। আমাকে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। এ মামলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আদালতের সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রফিক উদ্দিন ভোরের আকাশকে বলেন, সাক্ষীদের ঠিকানায় পাওয়া গেল কি না অথবা তারা মৃত না জীবিত কোনো তথ্যই পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা খুব দুঃখজনক। তিনি বলেন, মামলা নিষ্পত্তিতে কিছু বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সে কারণে কিছু করা যাচ্ছে না।
আইনজীবী জীবনানন্দ চন্দ জয়ন্ত বলেন, ‘মামলাটি নিষ্পত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতা আছে কি না সেটিই এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য। আন্তরিকতা থাকলে এমন একটি হত্যা মামলা যুগের পর যুগ পড়ে থাকত না। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতা প্রশ্নসাপেক্ষ। এ ধরনের প্রবণতা বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই হৃষ্টপুষ্ট করছে যুগ যুগ ধরে। এই মুহূর্তে দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা গেলে আইনাঙ্গনের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। একইসঙ্গে সব ঘটনায় সমান বিচারিক মনোভাব প্রয়োগ করতে হবে, যা সচরাচর দেখা যায় না- এ গল্পের শেষ হওয়া প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন মামলাটির বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী সাক্ষীদের হাজির করানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা ভোরের আকাশকে বলেন, এই প্রথম এমন একটি হত্যাকাণ্ডের কথা আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তিনি বলেন, যে সময়ের ঘটনার কথা বলা হচ্ছে সে সময় আমি নিজেও এই বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম না। তাই ওই ঘটনার কথা এখন কিছুই বলতে পারব না। তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়টি ফলোআপ করা উচিত ছিল। এই ফলোআপ না হওয়াটা ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, যেকোনো অন্যায়েরই বিচার হওয়া উচিত। আর বিচার না হওয়াটা মানবাধিকারের লঙ্ঘনও বটে। তিনি বলেন, বিষয়টি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আনা হবে।
১৯৯২ সালের আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৩৯(সি) ধারায় ছিল যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলার বিচার সম্পন্ন না হলে আসামিকে খালাস দিতে হবে। এই ধারাটি ১৯৯২ সালে (৪২ নম্বর আইন) সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এই ধারানুযায়ী, মামলা গ্রহণের পর থেকে ৩৬০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতকে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে কী হবে তা আইনে বলা নেই। তবে সেক্ষেত্রে আদালত আসামিকে জামিন দিতে পারবে বলে আইনে বলা আছে। আর ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(এইচ) ধারা অনুযায়ী উপযুক্ত কারণ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তি করা না গেলে যতটুকু সাক্ষ্য হয়েছে সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামিকে সাজা দেওয়ার মতো না হলে আসামিকে খালাস দিতে হবে। অর্থাৎ মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হবে। আর সাক্ষ্য আইনের ১৩৪ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন না করা গেলে সেক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করেন যে, ওই সময় পর্যন্ত সে সাক্ষী হয়েছে তার মধ্যে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যই আসামিকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। তাহলে আদালত আর অপেক্ষা না করে সাজা দিতে পারবে।
মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, প্রেমসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই হলের আবাসিক ছাত্র রণজিৎ কুমার মজুমদার ১৯৭৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ছুরিকাঘাত করে বীরেন্দ্রকে হত্যা করে। ছুরিকাঘাতের পরপরই রণজিৎ ভারতে পালিয়ে যান। রণজিতের পিতা ছিলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের তার এলাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। হত্যাকাণ্ডের পর তারাও সবাই ভারতে চলে যান। এ ঘটনায় জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক জপব্রত রায় চৌধুরী রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রণজিৎকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গুরুতর জখম বীরেন্দ্র চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘রণজিৎ আমাকে মেরে ফেলল।’ পরে হলের তৎকালীন আবাসিক ছাত্র স্বপন কুমার রায় বীরেন্দ্রকে রিকশায় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক বীরেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ মামলায় তদন্ত শেষে ওই বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, শিলা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তখন রোকেয়া হলে থাকতেন। রণজিতের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পরে বীরেন্দ্রর সঙ্গে শীলার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি রণজিৎ। তাই পরিকল্পনা করে একদিন জগন্নাথ হলে বীরেন্দ্রকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান রণজিৎ।’
মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, ১৯৮৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রণজিতের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হয় রাষ্ট্রপক্ষ। এভাবে কেটে যায় আরো একুশ বছর। শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট মামলার দুজন সাক্ষীর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষীরা হলেন-জগন্নাথ হলের তৎকালীন আবাসিক ছাত্র সজল কান্তি মণ্ডল ও আশিস কুমার পাল। এরপর আবার অপেক্ষার পালা। অবশেষে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খোরশেদ আলম আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ছয় বছরে আর কোনো সাক্ষীকেও আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আগামী ২১ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
জানা যায়, ২০১২ সালের ১ নভেম্বর সর্বশেষ ঢাকার চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে এ আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য স্থানান্তরিত হয়। নথিতে দেখা যায়, ৩৭ বছর বিচার চলাকালীন রাষ্ট্রপক্ষ মামলার কেস ডকেট (সিডি) পিপির কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করেননি। ১৯৯৯ সালে মহানগর দায়রা জজ আদালত গঠনের পর থেকে যে সব সিডি সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে বীরেন্দ্র হত্যা মামলা নেই বলে ঢাকার বর্তমান মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবুর স্বাক্ষরিত একটি আবেদন থেকে জানা গেছে। ওই আবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়েছিল।
মামলায় যে পাঁচজন সাক্ষ্য দেননি তারা হলেন, মামলার বাদী জগন্নাথ হলের তৎকালীন আবাসিক শিক্ষক জপব্রত চৌধুরী, হলের তৎকালীন আবাসিক ছাত্র স্বপন কুমার রায়, সচিন্দ্র চন্দ্র ঘোষ, শীষ মোহাম্মদ ও রমনা থানার তৎকালীন এএসআই ও মামলার রেকর্ডিং অফিসার আবদুল বারী। পুলিশ আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলেছে, বাদী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। বাকি সাক্ষীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, সাক্ষী না আসায় আদালত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বাকি ৫ সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আর এ কারণে মামলাটির বিচারও শেষ হয়নি। বছরের পর বছর সাক্ষী হাজির করার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে একের পর এক আবেদন করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আর সাক্ষী হাজির করতে অন্তত ছয়বার পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট থানায় চিঠি পাঠিয়েছে আদালত। অনুপস্থিত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। ২০১৪ সালে এক আদেশে আদালত বলেছেন, সাক্ষীদের হাজির করতে রাষ্ট্রপক্ষ আন্তরিক নয়। এভাবে চলতে পারে না।