logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২২ ১২:০১
বেগুনি-হলুদ রঙের ফুলকপি
মো. জিয়াউর রহমান, নেত্রকোনা

বেগুনি-হলুদ রঙের ফুলকপি

কৃষক সন্তোষ বিশ্বাসের জমিতে রোপণ করা ফুলকপি

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস। সারা বছরই তার জমিতে নানা প্রকার শাকসবজির চাষ হয়ে থাকে। তবে এবার স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে বেগুনি-হলুদ রঙের ফুলকপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি।

সন্তোষ বিশ্বাসের এমন সফলতা দেখে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস। এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ২৫ শতক জমিতে লাউ, ঢেঁড়স, টমেটো ও শসার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বেগুনি-হলুদ রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন। শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে রঙিন ফুলকপি চাষে সফলও হন।

কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে ২০০ রঙিন ফুলকপির বীজ এনে আমার জমিতে বপন করেছিলাম। তারপর ঠিক মতো পরিচর্যা করেছি এবং জৈব সার প্রয়োগ করেছি। এতে তেমন কোনো খরচও হয়নি। অল্প পরিশ্রম ও খরচে বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপির ফলন খুব ভালো হয়েছে। রঙিন ফুলকপিগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। বাজারে এসব ফুলকপির চাহিদা ও মূল্যও বেশি। এরই মধ্যে ২০ হাজার টাকার রঙিন ফুলকপি বিক্রি করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। অনেকেই এ জাতীয় ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এবং আমার কাছে পরামর্শ চাইছেন।’

একই এলাকার কৃষক লতিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সন্তোষ বিশ্বাসের আগে অন্য কেউ রঙিন ফুলকপির চাষ করেনি। আমিও ফুলকপিগুলো দেখেছি। খুব ভালো ফলন হয়েছে। এতে খরচ কম এবং বাজারে এর চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমিও আমার জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করব।’

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, ‘কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল ও লাভবান হয়েছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমরা কৃষকদের পাশে সব সময় আছি।’

তিনি আরো জানান, ফুলকপি বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে।