logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৪:৫১
বাংলাদেশের উন্নয়ন-প্রবৃদ্ধির প্রশংসায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভাপতি
কূটনৈতিক প্রতিবেদক



বাংলাদেশের উন্নয়ন-প্রবৃদ্ধির প্রশংসায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভাপতি

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভাপতি আব্দুল্লাহ শাহিদ

বিদেশি অতিথিদের সম্মানে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন-প্রবৃদ্ধির প্রসংশা করেছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভাপতি আব্দুল্লাহ শাহিদ।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, সামাজিক সূচক, প্রযুক্তি, ব্যাংকিং, গ্রামীণ উন্নয়ন বা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি দেশ কীভাবে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, তার উজ্জ্বল উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ।  

বুধবার (৩০ মার্চ) জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আজকে আমাদের মধ্যে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার সুযোগ পাননি, তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণটি পড়ুন, যেটি আজ ইউনেস্কোর মেমোরি অফ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তিনি গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, ও সাংস্কৃতিক অন্তর্ভুক্তির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অটল বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করেন।  

আব্দুল্লাহ শাহিদ  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের জন্য যা করতে চেয়েছেন, সম্ভবত সেই অর্জনই আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধা।

সাধারণ পরিষদ সভাপতি ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন। যার ফলে জাতিসংঘ ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।  

তিনি এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন, যা বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় এত উঁচুতে তুলতে ভূমিকা রেখেছে।

তিনি  বলেন, বাংলাদেশে উদীয়মান অর্থনীতির সঙ্গে রয়েছে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র। কোভিড-১৯ মহামারির অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি বড় প্রমাণ হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গত বছর এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে উত্তরণের সুপারিশ প্রদান।

তিনি জনগণ, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত বিনিয়োগের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান জয় বাংলা উচ্চারণ করে তার বক্তব্য শেষ করেন।

অনুষ্ঠানে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের শতাধিক রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।